আইসিএসই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বর্ধমানের সম্বিত মুখোপাধ্যায়। এবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার। সম্বিতের হাতে উপহার তুলে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। পূর্ব বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র সম্বিত। প্রাপ্ত নম্বর ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯। খবর আসতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র সম্বিত। খুশির জোয়ারে ভাসছে তাঁর স্কুল ও পরিবার। সম্বিতে বাড়ি বর্ধমান শহরের পার্কাস রোড এলাকায়। সোমবার সকালে তার বাড়িতে যান শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। এই মুহূর্তে জনসংযোগ কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও সম্বিতের জন্য উপহার পাঠিয়েছেন।” রবিবার কলকাতার ফ্ল্যাটেই ছিলেন সম্বিত। বর্ধমানের বাড়িতে ফিরে তিনি বলেন, “ভীষণ ভাল লাগছে। এতো ভাল ফল হবে আশা করিনি। পড়াশোনাটাকে কখনও চাপ হিসেবে নিইনি। তাকে আনন্দের সঙ্গেই নিয়েছিলাম। সে জন্য আমি প্রথম দিন থেকেই একটা রুটিন তৈরি করে নিয়েছিলাম। সেটাকেই মেনে চলেছি। পরীক্ষার আগের দিনও চাপ হয়নি। জানতাম পরীক্ষা ভালো হবে। তবে যে বিষয়টা পড়তাম সেটাকে খুঁটিয়ে পড়তাম। আমার ধারণা সবসময় পরিষ্কার রাখতাম। যেমন প্রশ্নই আসুক না কেন আমি যাতে সঠিক ও যথাযথ উত্তর দিতে পারি সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছিলাম। একটা চ্যাপ্টার পড়া শেষ করে সেই সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করেছি।”
পাশাপাশি, আগামী দিনে যারা পরীক্ষা দেবে তাদের উদ্দেশ্যে সম্বিতের বার্তা, “পড়াশোনাকে কখনও চাপ হিসেবে নিও না। পড়াশোনা আনন্দের সঙ্গে কর। তাতে কম সময়ে পড়াশোনা আত্মস্থ করতে পারবে। পড়াশোনার সঙ্গে অন্য হবার সময়ও বের করা যাবে।” রাজ্যের মধ্যে সেরা তিনে জায়গা করে নিয়েছে ২১ জন, তাঁরা হল। কলকাতার অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ স্কুলের অনুরাগ নন্দী, মালদার নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ অ্যাকাডেমির তৃষা বিহানী, কলকাতার ডি. পল স্কুলের শ্রেয়াশী বিশ্বাস, কলকাতার বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের সাবিক ইবন খান, জোকার গার্ডেন হাই স্কুলের আরণ্যক রায় প্রত্যেকে ৪৯৮ নম্বর পেয়েছে। মোট পাঁচজন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। অন্যদিকে, রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন ক্যালকাটা গার্লস হাই স্কুলের ঐশী চক্রবর্তী, মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের মহিকা দে, বর্ধমানের ইস্ট ওয়েস্ট মডেল স্কুলের অন্তরা দাঁ, শিলিগুড়ির সেন্ট মাইকেল স্কুলের শিলাজিৎ ঘোষ, গোবিন্দ সরদা, কলকাতার নিউটাউনের দিল্লি পাবলিক স্কুলের অঙ্কন রায়, সায়ন সেন, অহনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডরথী মজুমদার, দীপ্তাংশু রায়, কলকাতার পৈলান ওয়ার্ল্ড স্কুলের রৌনক রায়, কলকাতার দ্য হেরিটেট স্কুলের অপ্রতীম গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতার সেন্ট স্টিফেনস স্কুলের রূপম মণ্ডল, কল্যাণীর জুলিয়েন্ট ডে স্কুলের সৌম্যজ্যোতি বিশ্বাস, নৈহাটির সেন্ট ল্যুক ডে স্কুলের অরুনাভ দত্ত, পানিহাটির সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের শিঞ্জিনী মিত্র।