ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশ। যা দেখে কার্যত শিউরে উঠছেন সকলে। বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরাচ্ছিলেন এক মহিলা। সেই সময় ওই মহিলাকে বাঁচানোর পরিবর্তে ভিডিও রেকর্ডিং করতে থাকলেন ভাই। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলার। মহিলার নাম সরোজ যাদব এবং তাঁর ভাইয়ের নাম সঞ্জীব যাদব। পেট্রোল লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। এরপরে সেটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনায় গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছেন মহিলা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁর ভাইয়ের পরামর্শেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভুক্তভোগী সরোজ। নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর প্রতিবেশী পবনের স্ত্রী সম্প্রতি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেসময় পবন এলাকায় শক্তি প্রদর্শন করছিলেন। রবিবার নির্যাতিতার মা উর্মিলার সঙ্গে পবনের ঝগড়া হয়। পরে পবন পুলিশকে ঝগড়ার কথা জানায়। উর্মিলা বলেন, পুলিশ তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে থানায় নিয়ে গেলে বিরক্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সরোজ।
এপ্রসঙ্গে শাহজাহানপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার এস আনন্দ জানান, “নির্যাতিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাইক থেকে পেট্রোল ঢেলে তার সাহায্যে আগুন ধরিয়েছেন ওই মহিলা। আমরা সিসিটিভি ফুটেজও উদ্ধার করেছি এবং তাতে দেখা যাচ্ছে নিহতের ভাই তাঁর বোনকে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছিল। আমরা এ ঘটনায় পবন গুপ্তার ভূমিকাও খতিয়ে দেখছি।” জনৈক পুলিশ আধিকারিক জনিয়েছেন, “আমরা বিষয়টির সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। অভিযোগ নথিভুক্ত করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাটি আরসি মিশন থানা এলাকার অধীনে শহরের রেটি কলোনিতে ঘটেছে।” জানা গিয়েছে, উর্মিলা তাঁর স্বামী, মেয়ে সরোজ-সহ তিন সন্তানের সঙ্গে থাকেন। তাঁর স্বামী সুন্দরলাল একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার আরও দুই মেয়ে বিবাহিত। সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা যায়, গায়ে আগুন লাগার পর জ্বলন্ত অবস্থায় ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েন ওই মহিলা তখনও ভিডিও রেকর্ডিং করতে থাকেন তাঁর ভাই। কিছুক্ষণ পর পরিবারের এক সদস্য মহিলার গায়ে মোটা কাপড় জড়িয়ে আগুন নিভিয়ে দেন। তখনও তাঁর ভাইকে ভিডিও রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ উত্তাপ ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।