উভয় সঙ্কটে কংগ্রেস। কর্ণাটকে জিত হাসিল তো করে নিয়েছে। এখন দলের সামনে আরেকটা বড় লড়াই। কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে বেছে নিতে হবে। সিদ্দারামাইয়া নাকি ডিকে শিবকুমার! কার উপর ভরসা রাখবে দল? এই নিয়েই এখন দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস।
এদিকে কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্যও বজায় রাখতে হবে। যাতে কোনও নেতাই ক্ষুণ্ণ না হন। ফলে সব দিক বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের এই গুরুত্ব দায়িত্ব কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে। এর সমাধান বের করতে গতকালই তাঁর বাসভবনে বৈঠকে বসে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা। সাড়ে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ম্যারাথন বৈঠক চলার পরেও কোনও সুরাহা মেলেনি। ফলত আজ ফের খাড়গের নেতৃত্বে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কর্ণাটকের আগামী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।
এই বৈঠকে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া উপস্থিত থাকলেও গরহাজির ছিলেন ডিকে শিবকুমার। হাই কম্যান্ডের ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়। পেটে ইনফেকশনের কথা জানিয়ে এই সফর বাতিল করেন তিনি। তবে দিল্লিতে খাড়গের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর ভাই ডিকে সুরেশ। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, আজ রাজধানীতে আসছেন ডিকে শিবকুমার। পাশাপাশি তিনি নিজের দাদাকেই মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিও তুলেছেন। অন্যদিকে, ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই সিদ্দারামাইয়া পুত্র দাবি করেন, মুখ্য়মন্ত্রী তাঁর বাবাই হবে। ওদিকে নয়া দিল্লিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাতের পর গতকাল গভীর রাতে দিল্লির লোধি হোটেল ছাড়েন সিদ্দারামাইয়া। ফলে আজ তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে গতকাল বৈঠকের পর কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় আজ ফের বৈঠকে বসবে কংগ্রেস।