কর্ণাটকে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। দক্ষিণের এই রাজ্যে প্রায় সাফ গেরুয়া শিবির। ম্যাজিক ফিগারের দৌড়ে বিজেপিকে অনেকটাই পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। একইদিনে মোদী-শাহর জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা এল যোগীরাজ্য থেকে। সেখানে পুরসভা ও নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচনেও তলানিতে বিজেপি। একমাত্র মিউনিশিপ্য়াল ভোট ছাড়া আর কোথাও খুব ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। অন্তত প্রবণতা সেটাই বলছে।
উত্তরপ্রদেশের মিউনিশিপ্য়াল করপোরেশনের নির্বাচনে ১৭টিতেই জিতেছে বিজেপি। ওই ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৩ জন পুরনো। বাকীরা সবাই নতুন। অন্যদিকে, নগর পঞ্চায়েতের ৫৪৪ আসনের মধ্যে ও নগর পালিকার ১৯৯ আসনের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কিন্তু এখানে অবশ্য হিসেব অন্য কথা বলছে। নগর পঞ্চায়েতের ৫৪৪ আসনের মধ্যে ১৯৬ আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, সপা(৯১), কংগ্রেস(১৪), বসপা(৩৮) ও অন্যান্যারা ২০৫ আসনে জয়ী হয়েছে বা এগিয়ে রয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের ওইসব আসন করলে দাঁড়ায় ৩৪৮।
অন্ধিকে, নগর পালিকার ১৯৯ আসনের মধ্যে ৯৪ আসনে জয়ী বা এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, সপা(৩৯), কংগ্রেস(০৪), বসপা(১৬) ও অন্যান্যারা ৪৬ আসনে এগিয় বা জিতেছে। বিরোধীদের ওই সংখ্যা যোগ করলে দাঁড়ায় ১০৫। ফলে নগর পঞ্চায়েত ও নগর পালিকা এই দুই স্তরেই আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে বিজেপি শিবিরের উপরে। প্রবণতা যদি শেষপর্যন্ত এই দিকেই এগোয় তাহলে দুর্বল হয়ে যাবে বিজেপি শিবির। তার দায় এসে পড়বে যোগীর উফরে।
প্রসঙ্গত, কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে এখনওপর্যন্ত ১৩৪ আসনে জিতে গিয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি জিতেছে ৬৪ আসনে। ভোটের ফলাফল দেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ডবল ইঞ্জিনের সরকার নয়, ট্রাবল ইঞ্জিনের সরকার। আর মমতা বললেন, ইমেজ বলে ওদের আর কিছুই নেই। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে ওরা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে।