মানুষের অভাব–অভিযোগ জানতে শুরু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’। তারপর গ্রামের মানুষের কাছ থেকে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে ‘দিদির দূত’রা পৌঁছে গিয়েছেন দুয়ারে। এখন তৃণমূলে নব জোয়ার শুরু হয়েছে। গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখানেই থেমে থাকতে চাইছেন না বাংলার ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার দিদির পাড়ায় ‘জনতার দরবার’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই জনতার দরবার শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে দাপট দেখাতে শুরু করলে তা বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার থেকে আবার চালু হল ‘জনতার দরবার’।
২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বেড়েছে। এই জয় তিনি মানুষকে উৎসর্গ করেছেন। এমনকী পুরসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ঘাসফুলের জয়জয়কার দেখা গিয়েছে আগে। তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যেতে। বাড়ির উঠোন থেকে রাস্তায়, চায়ের দোকানে, চপের দোকানে এমনকী হঠাৎ সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে একসঙ্গে খেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুনেছেন তাঁদের কথা। এছাড়া নবান্নে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমস্যার চিঠি দিয়ে আসেন রাজ্যের মানুষ। সেইমতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবার সরাসরি মানুষের মুখ থেকে শুনবেন অভাব–অভিযোগের কথা।
কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকার রাস্তায় রয়েছে মিলন সংঘ ক্লাব। সেখানে এবার থেকে প্রত্যেক রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বসবে জনতার দরবার। গোটা বিষয়টির দায়িত্বে থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। গতকাল রবিবার হাজির ছিলেন সাংসদ শান্তনু সেন, বিধায়ক নির্মল মাজি, কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ আরও অনেকে। কোনও সমস্যা থেকে দ্রুত সমাধান করে মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই জনতার দরবারের লক্ষ্য।