শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছিল ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। এই নির্দেশের পরই তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সোমবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালে। ওই বছর প্রথম ধাপে সাড়ে ৪২ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে হয়নি। অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এখনও এই মামলার তদন্ত চলছে। তারমধ্যেই এই সাড়ে ৪২ হাজারের মধ্যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এই নির্দেশ আসার পরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, ‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরা এখনও পর্ষদের অধীন। এই অবস্থায় পর্ষদ কখনওই দায় এড়াবে না। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। দরকারে উচ্চতর আদালতে যাব।’
সোমবার দেখা গেল পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার করার অনুমতি চায়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতির সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ অনুমতি দেয়। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলা শোনার আর্জি জানানো হয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ, চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার আগে ৩৬ হাজার শিক্ষকের বক্তব্য শোনা হয়নি। সূত্রের খবর, আগামীকাল এই মামলার শুনানি হতে পারে।