এবার রোগীদের সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে সুশ্রী কায়াকল্প প্রতিযোগিতায় রাজ্যের সব হাসপাতালকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল। এর আগে আরও এক বার এই শিরোপা পেয়েছিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। এবার মিলিয়ে মোট দুবার এই পুরস্কার পেল তারা৷
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ‘ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম রিসোর্স সেন্টার’ হাসপাতালগুলির বিভিন্ন পরিষেবা সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করে। সেই প্রকল্পের নাম ‘সুশ্রী কায়াকল্প’। এই প্রকল্পে প্রসূতি ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, হাসপাতালের আউটডোর, ইন্ডোর, অপারেশন থিয়েটারের পরিচ্ছন্নতা এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট, প্রশাসনিক কার্যকলাপ মিলিয়ে মোট আটটি বিভাগের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই নিয়েই স্বাস্থ্য দপ্তর প্রাথমিক, গ্রামীণ, মহকুমা ও জেলা স্তরের সমস্ত হাসপাতালের মূল্যায়ন করে।
সম্প্রতি, স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ফলাফলের তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর ফলাফল প্রকাশ হতেই উচ্ছ্বসিত বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, রাজ্যের ১৩টি জেলা হাসপাতাল, ৩০টি মহকুমা, ১৬টি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, ২৭৪টি গ্রামীণ ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৫৭৬টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্য দফতর। এরপরই শনিবার ২০২২-২৩ সালের ‘সুশ্রী কায়াকল্প’-এর তালিকা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল প্রথম স্থান পেয়েছে। বালুরঘাট হাসপাতাল পেয়েছে ৯৫.২৯ শতাংশ নম্বর।
তবে গতবারের রাজ্য সেরা এমআর বাঙুর এবারেও পেয়েছে ৯৬.২৯ শতাংশ নম্বর। যেহেতু তারা গত বছরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেই ক্ষেত্রে এবারে তাদের আরও ৫ শতাংশ নম্বর বেশি পাবার নিয়ম। কিন্তু তা অর্জন করতে পারেনি এমআর বাঙুর। তাই তালিকায় দ্বিতীয় হয়েও বালুরঘাট প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। কলকাতা তো বটেই, রাজ্যের হাসপাতালগুলির সাথে টেক্কা দিয়ে প্রথম হওয়ায় বালুরঘাট হাসপাতাল পাবে ৫০ লক্ষ টাকা। সেই টাকা হাসপাতালে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও উন্নত রোগী পরিষেবার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।