বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই নারী ক্ষমতায়ন ও সার্বিক উন্নয়নে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের জন্য তাঁর চালু করা একাধিক প্রকল্প ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর পাশাপাশি বাংলার মহিলাদের চাকরির নিশ্চয়তাও দেবে রাজ্য সরকার। সে উদ্দেশ্যেই গঠন করা হল ‘উইমেন্স এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম’। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে সামনে রেখে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। লক্ষাধিক মহিলার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিই রাজ্যের লক্ষ্য। সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করছেন বাংলার বহু মহিলা। তাই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চাকরি পাওয়ার তাগিদও। এই বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট আসে নবান্নে। যা দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তুলতে এই বিশেষ পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিসভা এই উদ্যোগকে ছাড়পত্র দিলেই শুরু হবে কর্মকাণ্ড। প্রত্যেকটি দফতরের হাতে থাকা মহিলাদের চাকরি এবং কাজ সম্পর্কিত তথ্য মিলিয়ে দেখে কোন কোন ক্ষেত্রে কতজন কাজ করছেন, তার একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য আরও চাকরির সুযোগ তৈরি করা যায়, তাও খতিয়ে দেখা হবে। তার পর একটি শ্বেতপত্র তৈরি করবে রাজ্য সরকার। এই শ্বেতপত্রের উপর নির্ভর করেই পরবর্তী কর্মসূচি সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, অর্থ, শ্রম, কারিগরি শিক্ষা, শিল্প, ক্ষুদ্রশিল্প, স্বাস্থ্য, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ, পঞ্চায়েত, তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিবদের নিয়ে গঠন করা হয় এই প্ল্যাটফর্ম। শিশু ও মহিলা উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের সচিবকে করা হয়েছে এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের চাকরির পরিবেশ আরও উন্নত করার উদ্যোগও নেওয়া হবে। অর্থাৎ, মহিলাদের জন্য স্থায়ী চাকরির সুযোগ তৈরি করতেই এই পৃথক প্রকল্পের সূচনা করল রাজ্য।