আড়াই বছরের বেশি সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রয়েছেন জেপি নাড্ডা। তার জমানায় একের পর এক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হারের সাক্ষী থেকেছে দল। এমনকি নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটেও ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই নিজের রাজ্যে বিজেপির থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে চলেছেন কর্ণাটকের মল্লিকার্জুন খাড়গে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে অমিত শাহের স্থানে বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের নেতা নাড্ডা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলা, দিল্লী, তামিলনাড়ু, কেরালার মতো রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে নাড্ডার নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশে। গত বছরের ১২ নভেম্বর হিমালয় ঘেরা ওই পাহাড়ি রাজ্যের ভোটে ক্ষমতাসীন বিজেপি পর্যুদস্ত হয়। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা নিয়ে কংগ্রেস দখল করে হিমাচলের কুর্সি।
ঘটনাচক্রে, গুজরাতের সঙ্গে হওয়া হিমাচলের ওই বিধানসভা নির্বাচন ছিল খাড়গের প্রথম পরীক্ষা। মোদীর রাজ্যে হারলেও হিমাচলের সেই ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস। পরিসংখ্যান বলছে, তাঁর সভাপতিত্বে এ পর্যন্ত তিনটি বিধানসভা ভোটে লড়েছে কংগ্রেস। গুজরাতে হারলেও জয় এসেছে হিমাচলে। ভোটগণনার প্রবণতা বলছে, কর্ণাটক ভোটেও বিজেপিকে পিছনে ফেলে পয়লা নম্বরের দল হতে চলেছে কংগ্রেস। অর্থাৎ, খাড়গের সাফল্যের হার ৬৬.৬৬ শতাংশ!