বাংলার শিরোপায় ফের যুক্ত হল নতুন সাফল্যের পালক। বিশ্বে একমাত্র লিভিং ইউনিভার্সিটি হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতী এবার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। আগামী সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াধে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে তা ঘোষণা করা হবে। গতকাল টুইটে এমনই বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী। এই খবর পাওয়ার পর সন্ধ্যায় ছাতিমতলাকে মোমবাতির আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়। সমাজ মাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ করতে শুরু করেন বিশ্বভারতীর বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ও ভবনগুলি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের বাসভবন ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যগুলি আজও পূর্বের অবস্থায় রয়েছে এবং ব্যবহৃতও হচ্ছে। তারাই প্রথম এ বিষয়ে উদ্যোগ আরম্ভ করেন। গত বছরের ২৫শে অক্টোবর ইউনেস্কোর উপদেষ্টা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস প্রতিনিধিরা শান্তিনিকেতন পরিদর্শন করেন। তারপর ইউনেস্কোর কাছে মতামত ও রিপোর্ট জমা দেন। সম্প্রতি এএসআইয়ের প্রতিনিধি দল আবারও শান্তিনিকেতন পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আইসিওএমওএস শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করতে ইউনেস্কোকে সুপারিশ করেছে। জানা গিয়েছে হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে শান্তিনিকেতন আশ্রম, পাঠভবন, সঙ্গীতভবন, কলাভবন, রবীন্দ্রভবন তথা উত্তরায়ণ প্রাঙ্গণ ও শ্রীনিকেতন।