সরকারি ক্ষেত্রে আগেই যা চালু হয়েছিল। এবার বাংলার তামাম বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকেও ধাপে ধাপে হেলথ মনিটরিং ইনফরমেশন সিস্টেম বা এইচএমআইএস ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে অচিরেই রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চলে আসবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নখদর্পণে। এই পদ্ধতি লাগু হওয়ার ফলে সব থেকে বেশি লাভবান হবেন রোগীরা। কারণ রোগীর রোগ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব তথ্য আপলোড থাকবে একটি পোর্টালে। এর ফলে একজন রোগী যখন কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাবেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে পোর্টাল থেকে তাঁর যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন চিকিৎসক। এক ক্লিকেই খুলে যাবে রোগীর যাবতীয় তথ্যের দরজা।
রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালেই চালু হয়ে গিয়েছে এইচএমআইএস। বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও এই ব্যবস্থা চালু আছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইচএমআইএস-এর আওতায় রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালকেই আনতে হবে। সেই সূত্রেই রাজ্যের তামাম বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে ধাপে ধাপে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায়। এ নিয়ে অবিলম্বে সর্বস্তরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারককে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। শুধু তাই নয়, এ বার থেকে রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি সব ধরণের হাসপাতালকে প্রতি মাসে সব চিকিৎসাধীন রোগীর তথ্যাবলি এইচএমআইএস পোর্টালে আপলোড করতে হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৯০০ ধরনের রোগভোগ ও তার চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করতে হবে পোর্টালে।