নতুন উদ্যোগ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার সারা বাংলার জেলায় জেলায় গ্রাম থেকে শহরে ছড়িয়ে থাকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিজস্ব শৌচালয় নির্মিত হবে। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যের প্রায় ১৪ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় যেখানে যেমন দরকার, তার তালিকা সংগ্রহের পর এই সংখ্যা সামনে এসেছে। রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর থেকে সেই তালিকা ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি শৌচালয় নির্মাণের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই খাতে ব্যয় হবে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বহু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শৌচালয়ের সমস্যা রয়েছে। কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি থাকলে এই সমস্যা কিছুটা কম। কিন্তু ভাড়াবাড়ি বা অন্য কোনও স্থানে চলা কেন্দ্রে শৌচালয়ের সমস্যা প্রকট। নির্মল বাংলা গড়তে বাড়ি বাড়ি শৌচালয় যেমন আবশ্যিক, তেমনই কচিকাঁচাদের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতেও তা প্রয়োজন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, নিজস্ব ভবন হোক কী ভাড়া বাড়ি, প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থাকবে শৌচালয়। যে সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ভাড়া বাড়িতে চলছে সেখানে শৌচালয় নির্মাণের জন্য জায়গা চাওয়া হবে। জায়গা পেলেই তা নির্মাণ করে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হলেও সেই শৌচালয় কিন্তু থেকে যাবে ভাড়া বাড়িতে যা সেই বাড়ির লোকেরা ব্যবহার করতে পারবেন। এখন শৌচালয়ের জন্য ভাড়া বাড়ির মালিককে এক পয়সাও দিতে হবে না। তিনি খালি শৌচালয় নির্মাণের জায়গা দেবেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে যে ১৪ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শৌচালয় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমানে এক হাজারের কিছু বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থাকছে। এছাড়াও ২৭৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়।