গতকালই ছিল কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে বুথফেরত সমীক্ষা। এবার যেমন জানা গেল, কংগ্রেস এবং বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই সত্ত্বেও দক্ষিণ কর্ণাটকের ‘পুরনো মাইসুরু’ এলাকায় নিজের ভোক্কালিগা জনগোষ্ঠীর ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই অক্ষত রাখতে পারবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জনতা দল (সেকুলার) বা জেডিএস। এবারের ভোটে তারা ২০-র বেশি আসনে জিততে চলেছে বলে প্রায় সবকটি বুথ ফেরত সমীক্ষারই পূর্বাভাস। এবিপি-সি ভোটার সমীক্ষা বলছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের রাজ্যে তাঁর দলের ঝুলিতে ১০০-১১২ কেন্দ্র যেতে পারে। বিজেপি ৮৩-৯৫, জেডি (এস) ২১-২৯ এবং নির্দল ও অন্যেরা ২-৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিততে পারে। অর্থাৎ ভোটের পরে ‘কিং মেকার’ হতে পারেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ২২৪টি আসনের মধ্যে ২১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে জেডিএস। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে দেবগৌড়ার দলের লক্ষ্য হল, নাগামঙ্গল, রামনগর, হাসান, মান্ডিয়া, মাইসুরু, টুমকুরের মতো ভোক্কালিগা অধ্যুষিত জেলাগুলি থেকে অন্তত ৩০টি আসন সংগ্রহ করে সম্ভাব্য ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় ‘কিংমেকার’ হওয়া। সমীক্ষা বলছে, তা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনেও ত্রিশঙ্কু হয়েছিল কর্ণাটক। সে বার ১০৪টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৮০ এবং দেবগৌড়ার দল ৩৭টিতে জেতে। কংগ্রেসের সঙ্গে ভোট পরবর্তী সমঝোতা করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবগৌড়া-পুত্র কুমারস্বামী। কিন্তু ২০১৯-এর জুলাই মাসে দু’দলের দেড় ডজনেরও বেশি বিধায়ক ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি।