বিরোধীরা তো বলছেই, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড বেঁকে গিয়েছে, এই অভিযোগ মানেন অনেক প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারও।
শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদীই নন, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এমনকী বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়েও নীরব কমিশন। আর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও মেসেজ প্রচারের পর এমন ধারণাও বদ্ধমূল হচ্ছে যে কমিশনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মোদী নিজেকে আইনকানুনের ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করেছেন।
কর্নাটক বিধানসভার ভোটের প্রচার সরকারিভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল সোমবার বিকাল ৫’টায়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অর্থাৎ যে আইন বলে কমিশন ভোট পরিচালনা করে সেটির ১২৬ নন্বর ধারায় বলা আছে প্রচার শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা প্রার্থী থেকে দল এবং নেতারা ভোট নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলতে পারবেন না। না পারবেন নিজের বা দলের কথা বলতে, না পারবেন প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে।
কিন্তু সেই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে কর্নাটকবাসীর উদ্দেশে আট মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর টেবিলের সামনে বিজেপি নির্বাচনী প্রতীক পদ্ম জ্বল জ্বল করছে। মোদীর পিছনের দেওয়াল জুড়েও পদ্ম।
ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী রাজ্যবাসীর উদ্দেশে কর্নাটককে সবক্ষেত্রে এক নম্বর রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গত সাড়ে তিন বছরে কেন্দ্র রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার রাজ্যটিকে দেশের সেরা করার লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প ধরে ধরে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে সরাসরি বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর টুইট বার্তায় ভিডিওর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কাজের ফিরিস্তি সম্বলিত হিন্দি, কন্নড় এবং ইংরিজিতে লেখা পোস্টার। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তারও কন্নড় এবং হিন্দিতে অনুবাদ প্রচার করা হয়েছে।