গুজরাত থেকে নিখোঁজ হওয়া ৪০ হাজার মেয়ে কোথায় গেল? এই প্রশ্নে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিঁধল মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার মুখপত্র পত্রিকা, সামানা। এই পত্রিকার সাম্প্রতিক ইস্যুর সম্পাদকীয় কলমে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নিখোঁজ মহিলাদের যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো, তা নিয়ে বিজেপি কী বলবে।
ওই কলমে লেখা হয়েছে, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যে গুজরাতের মহিলারা মানবপাচারের জালে ফেঁসে গিয়েছেন। কিন্তু মোদী-ভক্তরা সেসব দেখতে পান না, তাঁরা কেবল সফল গুজরাত মডেলের প্রশংসায় মশগুল।’ প্রসঙ্গত, এনসিআরবি-র ডেটা বলছে, গত পাঁচ বছরে গুজরাতে নিখোঁজ মহিলার সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি!
সেনা-পত্রিকা সামানা এই কলমে প্রশ্ন তুলেছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাশ্মীর ফাইলস এবং সুদীপ্ত সেনের দ্য কেরালা স্টোরি ছবি নিয়েও। তারা লিখেছে, এই পরিচালকরা তো ‘গুজরাত ফাইলস’ নামেও একটা সিনেমা বানাতে পারেন, গুজরাতের নিখোঁজ মহিলাদের কথা ভেবে।
পাশাপাশি অবশ্য ওই কলমে এ-ও উল্লেখ করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে মহিলাদের নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যাটাও বেশ উদ্বেগজনক। তথ্য বলছে, প্রতিদিন সে রাজ্য থেকে ৭০ জন করে মহিলা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে। গত তিন মাসে এই সংখ্যাটা ৫ হাজার! ওই কলমে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘শিন্ডে-ফড়ণবীশের সরকার এই নিয়ে কী করছে? এই দুই রাজ্যের সরকার বজরংবলি, হনুমান চলিশা ও আরও নানা ধর্মীয় ব্যাপার নিয়ে যতটা উৎসাহী, ততটা উদ্বিগ্ন নয় এই দুই রাজ্যের গরিব এবং প্রান্তিক মহিলাদের নিরাপত্তার ইস্যু নিয়ে।’