একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে, বারবার বাংলায় এসে মহাসমারোহে প্রচার চালিয়েও জয়ের মুখে দেখতে পারেনি বিজেপি। ২০০ আসনের ডাক দিয়ে মাত্র ৭৭-এই খুশি থাকতে হয়েছিল পদ্মশিবিরকে। এবারও বাংলায় বিজেপির জন্য লোকসভা ভোটে ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন খোদ অমিত শাহ। এবার তার পাল্টা জবাব এল তৃণমূলের তরফে। রাজ্যের শাসকদল ২০২৪ লোকসভায় ৩৫ ছাপিয়ে ৪০ আসন টার্গেট করে লড়াইয়ে নামছে। শনিবার রাতে ভগবানগোলায় বুথ অধিবেশনে এমনটাই ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ভগবানগোলার বুথ অধিবেশন থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলে দিয়েছেন,”আগামী দিনে রাজ্যে ৪০ আসনের টার্গেট নিয়ে আমাদের ঝাঁপাতে হবে।” ভগবানগোলা থেকে অভিষেক বুঝিয়েছেন, তৃণমূলে আজ ২২ থেকে ৩৫-৪০ হলে বিজেপি বাংলার টাকা আটকে রাখার সাহস পেত না। তৃণমূলের আসন সংখ্যা না বাড়লে বঞ্চনার শিকার হবেন বাংলাবাসীই।
পাশাপাশি অভিষেকের কথায়,”একটা আসন কমলে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না। কিন্তু তৃণমূলের আসন কমলে বাংলার মানুষ বঞ্চিত-লাঞ্ছিত হবে। তাই আগামী দিনে আমাদের ৪০ আসনের লক্ষ্যে ঝাঁপাতে হবে। এই মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনে তিন করতে হবে।” মুর্শিদাবাদবাসীকে অভিষেক বুঝিয়েছেন, ভোট ভাগাভাগিতে আখেরে ক্ষতি মানুষেরই। তৃণমূলের আসন কমে গেলে বঞ্চিত হতে হবে জনতাকে। বস্তুত, একসময়ের কংগ্রেসের গড়ে দাঁড়িয়ে ঘুরিয়ে অভিষেক বলে দিলেন, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ মানুষের নিজেদের বিপদ ডেকে আনা। এই মুহূর্তে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে রাজ্যের জেলায় জেলায় ঘুরছেন অভিষেক। উত্তরবঙ্গে তাঁর কর্মসূচিতে অভাবনীয় সাড়া মিলেছে। মালদহ-মুর্শিদাবাদ হয়ে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশের মুখেও তৃণমূলের কর্মসূচিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখ ধাধিয়ে দেওয়ার মতো। জনতার এই সমর্থন অভিষেকের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। সম্ভবত সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই বাংলার সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে ৪২টির মধ্যে ৪০টি আসনকে টার্গেট করছেন। এর আগে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছিল ঘাসফুল শিবির।