বড়সড় বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বৃহস্পতিবার ময়নায় গিয়ে নিহত বিজেপি নেতার পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি চাকরির আশ্বাস দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাঁর এই আশ্বাস নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ”এই মৃত্যুর তদন্তের আওতায় শুভেন্দুকেও আনা হোক। ও যখন তৃণমূলে ছিল, তখন ওখানে গিয়ে নিহতের নামে অনেক কিছুই বলেছে। সুতরাং, তাঁদের মধ্যে কেমন সম্পর্ক ছিল, বোঝা যাচ্ছে”, জানিয়েছেন কুণাল। গত সোমবার রাতে ময়নার বাকচা এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ। এনিয়ে এলাকায় তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়। রাজনৈতিক তরজায় মেতে ওঠে তৃণমূল-বিজেপি। বিজেপি নেতা খুনের প্রতিবাদে বুধবার ময়নায় ১২ ঘণ্টার বনধ পালন করেছে বিজেপি। দফায় দফায় চলছে একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচী।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ময়নায় প্রতিবাদ মিছিল করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মিছিলের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, ”রাজ্য বিজেপির তরফে বিজয়কৃষ্ণর পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমরা দলের ৭ বিধায়ক নিজেদের তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছি। আর ওঁর স্ত্রী ঠিক করুন কে চাকরি করবে – বড় ছেলে প্রসেনজিৎ নাকি ছোট ছেলে রঞ্জিত। যে চাকরি করতে চাইবে, তাকে আমি দায়িত্ব নিয়ে ১ জুন থেকে চাকরির ব্যবস্থা করব। আর এখানে তৃণমূলের গোড়া তুলব।” এরপর হুঁশিয়ারি সুরে শুভেন্দু আরও বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে হেরেছেন, এবার সবার কাছে হেরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” এ প্রসঙ্গে পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। ”যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু শুভেন্দু ময়নার ঘটনা নিয়ে যেভাবে এসব করছেন, তাতে তাঁর নাটক স্পষ্ট। এর আগে শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিল, তখন ময়নার বিজেপি নেতৃত্ব সম্পর্কে খুবই বাজে কথা বলত। বলত, ব্লিচিং দিয়ে সাফ করব। পরে সে গ্রেপ্তারি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়ে এখন এসব বলছে। তবেই তো বোঝা যাচ্ছে, আদি আর নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব ওখানে কতটা প্রকট”, ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র।