এবার বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে আদালত পর্যন্ত জল গড়িয়েছে। এসেছে দিল্লীর টিমও। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার মালদহের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরব হলেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেন, “দিল্লীর কুড়ি-পঁচিশটা লোক মিলে মিটিং করেছে। তারা চাইছে বাংলায় জাতিদাঙ্গা লাগাতে। হিন্দু-মুসলমান করে হচ্ছে না। এখন রাজবংশী-বাঙালি লাগিয়ে দিতে চাইছে।” পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, “কিছু মুসলমান ছেলেকে টাকা দিয়ে বলা হচ্ছে দাঙ্গা লাগিয়ে পালা। তারা হয়তো এসব করতে চায় না। কিন্তু টাকা দিয়ে করানো হচ্ছে।” এরপরে পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আমার কাছে সব তথ্য আছে। আপনাদের কাছে নেই?” কালিয়াগঞ্জের কিশোরীর দেহ ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। এদিন মমতা সরাসরি সেই প্রসঙ্গ না টানলেও বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে তিনি মোটেও ওই ঘটনায় সন্তুষ্ট নন। “কালিয়াগঞ্জে কেন প্রথমে ওসি যাননি? কেন কনস্টেবলকে পাঠানো হয়েছিল? দেহ উদ্ধারের পর সবসময় সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে হয়”, বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,হিংসার ঘটনা আটকাতে জেলায় জেলায় সাইবার সেলকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশে মমতার স্পষ্ট নির্দেশ, এমন কিছু দেখলে, ভুয়ো কিছু ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইলে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনও ঢিলেঢালা ভাব চলবে না। মমতা এও বলেন, কিছু পুলিশের আলস্যের জন্য এইসব ঘটনা ঘটছে। কেন ঘটনা ঘটার আগে পুলিশ জানতে পারছে না, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারছে না, তা নিয়েও প্রশাসনকে বিঁধেছেন মমতা। কালিয়াগঞ্জের অশান্তিতে যে বাইরের রাজ্য থেকে লোক ঢুকেছিল সেকথা আগেও বলেছে প্রশাসন তথা শাসকদল। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার সঙ্গে বিহারের সীমানা রয়েছে। তাছাড়া দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডেরও সীমানা রয়েছে। এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর উদ্দেশে ওই দুই রাজ্যের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।