মালদহের প্রশাসনিক সভা থেকে একগুচ্ছ বিষয়ে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বললেন, ‘সিএম গ্রিভেন্স সেলের কাজ ভাল হয়েছে। গঙ্গা ভাঙনটা কী হবে? রাজ্যের সেই টাকা নেই, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বন্ধ করে, ফ্রী রেশনের টাকা বন্ধ করে একটা প্রকল্প চলছে।’ তিনি নির্দেশ দেন, ‘১০ বছর এর একটা স্কিম নাও। ফেজ বাই ফেজ..৫ -৬ কিলোমিটারের মধ্য নতুন বাড়ি অনুমোদন দিও না। ৫ কিলোমিটারের মধ্য সেফ থাকতে চাই।’
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘গত ৫ বছরে একটা টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। আমরা তো এই ৫ বছরে ১ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি ভাঙন রোধে। কিন্তু এই টাকাটাও জলে চলে যাচ্ছে। গঙ্গাভাঙন আজ থেকে ১৫ বছর আগে যেটা ছিল আজ এটা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর টাকাটা যাচ্ছে। টাকাটা জলে চলে যাচ্ছে। সিএসকে বলব নীতি আয়োগের সঙ্গে কথা বলতে। একটা সুন্দরবন প্ল্যান, গঙ্গা প্ল্যান, গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের কথা বলতে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আজও পড়ে আছে। আগামীকাল আমাদের ১২ বছর পূর্ণ হবে। আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘গঙ্গা ভাঙন মারাত্মক ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। গঙ্গা ভাঙ্গনটা কেন্দ্রের বিষয়। এর ভবিষ্যৎ কী আমি জানি না। যাঁরা ডেটা সাইন্সে কাজ করেন, তাঁদের মতামত নিতে হবে। যখন-তখন ঝড় হচ্ছে, যখন-তখন বাজ পড়ছে। আগে এটা হত না। এখন এক একটা বাজে ৪ জন,৬ জন ৮ জন মারা যাচ্ছেন। কেন্দ্র যখন ফারাক্কা চুক্তি করেছিল, আমরা বাংলাদেশকে জল দিয়েছিলাম। কেন্দ্র বলেছিল আমাদের টাকা দেবে। কিন্তু আমাদের ৭০০ কোটি টাকা দেয়নি৷’