অব্যাহত ষোলোআনা দেখনদারি ও গালভরা প্রচার। অতিসম্প্রতি মন কি বাতের শততম ভাষণে গ্রামোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিয়ে ভুরি ভুরি দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ভাষণে জয়গান করলেও বাস্তব ছবিটা একেবারেই বিপরীত। শোচনীয়ও বটে। পরিসংখ্যান বলছে, গ্রামীণ ভারতের কর্মসংস্থান বিপুল মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত। গত তিন মাস যাবৎ বেড়েই চলেছে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা। এপ্রিলে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ ১০০ দিনের কাজের জন্য আবেদন করেছেন। যা মার্চের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। গত ১০ মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়া ইকোনমির সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। স্বভাবতই এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না। বেকারত্বের পরিসংখ্যানে শহরকে পেরিয়ে যাচ্ছে ভারতের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকমাসে গ্রামীণ ভারতে ৭.৩৪ থেকে ৭.৪৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে বেকারত্বের হার। ফলে ১০০ দিনের কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। একদিকে যেমন কাজের চাহিদা বাড়ছে, অন্যদিকে মোদী সরকার একশো দিনের কাজের বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া দিয়েছে। গত অর্থ বছরে ৯৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দ কমিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। যদিও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করছেন, এবার পরিকাঠামো উন্নয়নে নাকি বিপুল বরাদ্দ হয়েছে। যার জেরে দেশজুড়ে বিপুল কর্মসংস্থান হবে। ফলে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা কমবে। কিন্তু বাস্তবে কর্মসংস্থানের টিকিটিও দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। নিন্দার ঝড় উঠেছে একাধিক মহলে।
