দিল্লির যন্তর মন্তরে বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন দেশের তাবড় কুস্তিগিররা। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসজ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে এই প্রতিবাদ। এই আবহে গতকাল দিল্লি পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি লেগে যায় কুস্তিগিরদের। এই আবহে গতকাল থেকে এই আন্দোলন নয়া মোড় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা তাঁদের পদক ফেরানোর কথা বলেন সরকারকে। এই আবহে এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন। এই নিয়ে একটি টুইট করেন তিনি।
টুইট বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘এভাবে আমাদের মেয়েদের সম্মান ক্ষুন্ন করা যাবে না। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। গোটা দেশের মেয়ে তাঁরা। তাঁদে পাশে দাঁড়িয়ে আছে ভারত। আমিও আমাদের কুস্তিগিরদের পাশে আছি। আইন সবার জন্য এক। শাসকের আইন এই যোদ্ধাদের মর্যাদাকে হাইজ্যাক করতে পারে না। আপনি তাঁদের আক্রমণ করতে পারেন, কিন্তু তাঁদের আত্মাকে ভাঙতে পারবেন না। এই লড়াই সত্যের লড়াই। এবং এই লড়াই চলবে। আমাদের কুস্তিগীরদের আঘাত করার সাহস করবেন না। গোটা জাতি তাঁদের কান্না দেখছে এবং জাতি আপনাকে ক্ষমা করবে না। আমি আমাদের কুস্তিগিরদের আবেদন করছি যাতে তাঁরা শক্তিশালী থাকেন। তাঁদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল গভীর রাতে কুস্তিগিরদের বিক্ষোভ স্থলে হুলুস্থুল কাণ্ড বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় কুস্তিগীরদের। বজরংরা অভিযোগ করেন যে মত্ত অবস্থায় পুলিশকর্মীরা তাঁদের মারধর করেছেন। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে মাটিতে শুয়েই রাত কাটাচ্ছিলেন কুস্তিগিররা। তবে গতকাল দিল্লিতে দিনভর বৃষ্টি হয়। এই আবহে কুস্তিগিররা অবস্থান বিক্ষোভের জায়গায় খাটিয়া নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন ঘুমানোর জন্য। এর থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ, পুলিশ খাটিয়া নিয়ে আসতে বাধা দেয়। শুধু তাই নয়, কুস্তিগীরদের মারধর করে পুলিশ। মহিলা কুস্তিগিরদের গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পুলিশের মারে দুই কুস্তিগিরের মাথায় আঘাত লেগেছে। একজন কুস্তিগির অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।