এবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র প্রিয়ঙ্ককে শো-কজ নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘নালায়েক’ বলেছিলেন তিনি। আর সেই ‘অপরাধে’ই তাঁকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক তরজায় ব্যবহৃত অতি প্রচলিত শব্দ প্রয়োগের দায়ে, কেন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়ঙ্ককে নোটিশ পাঠানো হল, সে প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। উঠেছে নিন্দার ঝড়ও। নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ, তথ্য-প্রমাণে দেখা গিয়েছে মোদীর উদ্দেশে অবমাননাকর শব্দ প্রয়োগ করে ‘আদর্শ আচরণবিধি’ ভেঙেছেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়ঙ্ক। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ বিষয়ে তাঁকে জবাবদিহি করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। প্রসঙ্গত, কলবুর্গি (গুলবর্গা) জেলার চিত্তপুরের বিদায়ী কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়ঙ্ক, এবার ওই কেন্দ্রেই আবার দলের প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মোদী গুলবর্গায় প্রচারে গিয়ে নিজেকে ‘বানজারা’ (অনগ্রসর জনগোষ্ঠী) বলেছিলেন। অভিযোগ, সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রিয়ঙ্ক বলেন, ‘‘আপনি (মোদী) যখন গুলবর্গায় এসেছিলেন, তখন বানজারা সম্প্রদায়ের লোকদের কী বলেছিলেন? ‘ভয় পেয়ো না। বানজারাদের ছেলে দিল্লিতে বসে আছে’। কিন্তু এক জন অপদার্থ দিল্লীতে ক্ষমতায় বসল কী ভাবে?’’ প্রসঙ্গত, মোদীকে ‘বিষধর সাপ’ বলার অভিযোগ মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার কলবুর্গিতেই এক জনসভায় মোদীকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। দ্রুত সে জন্য ক্ষমাও চান তিনি। বলেন, ‘‘আমি কোনও ব্যক্তিকে নয়, বিজেপিকে বিষধর বলেছি।’’ কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ‘বিষকন্যা’ বলেন কর্ণাটকের প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক বসনগৌড়া পাটিল ইয়তমল। সনিয়াকে ‘চীন এবং পাকিস্তানের চর’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি! যদিও এখনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সে নিয়ে চরমে পৌঁছেছে বিতর্ক।