মোদী জমানায় ভারতে সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়। মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সম্পত্তি ভাঙচুর করার পাশাপাশি তাদের নিশানা করা হচ্ছে। আর এ কাজে উস্কানি দিচ্ছে শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)।
সোমবারই ওই বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আর কর্নাটকের ভোটের মুখে মার্কিন সংস্থার এমন রিপোর্টে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার। এ নিয়ে পর পর চার বছর ভারতে সংখ্যালঘুদের দুরবস্থা নিয়ে সরব হলো মার্কিন সংস্থাটি।
প্রতি বছরই বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে ইউএসসিআইআরএফ। মূলত স্বাধীন কমিশন হিসেবে পরিচিত সংস্থাটির সদস্যদের নির্বাচিত করেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেসের বিভিন্ন দলের নেতারা। ফলে ওই কমিশনের রিপোর্টকে যথেষ্টই গুরুত্ব দেয় মার্কিন প্রশাসন। সোমবার যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে তাতে চিন, রাশিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইরান ও মায়ানমারের পাশাপাশি ভারতের সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্যাতনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে বসবাসকারী মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ওপরে লাগাতার হামলা চলছে। তথাকথিত উত্তেজিত জনতা ও নীতি পুলিশ নামধারী স্বঘোষিত রক্ষকরা হামলা চালাচ্ছেন। বৈষম্যমূলক আইনের কারণে উৎসাহিত হয়ে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সম্পত্তি ভাঙচুর করার কাজ চলছে। মোদী জমানায় সংখ্যালঘুদের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা না থাকায় ভারতকে কালো তালিকাভুক্ত করারও সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।