উত্তরবঙ্গে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস। হাতছাড়া রাজবংশী ও আদিবাসী ভোট। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজবংশী ইস্যুতে বিঁধতে শুরু করেছে। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় তাই বড় ফ্যাক্টর রাজবংশী ভোট। কালিয়াগঞ্জের ঘটনার পরেই, বিজেপি আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে। সতর্ক শাসক দল তৃণমূল।
এই অবস্থায় রাজবংশী আবেগকে পাল্লা দিতে ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দু’দিন ধরে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকায় তিনি জনসংযোগ সারছেন। বিজেপির দখলে থাকা বিধানসভায় সভা করছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, আজ রাজবংশী এলাকায় মধ্যাহ্নভোজন সারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রান্তিক মানুষের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ ও সংক্ষিপ্ত বিশ্রাম নেবেন তিনি।
বিধানসভা ভোটের ফলের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে বিজেপি এগিয়ে ৬৯৯৫ ভোটে। আলিপুরদুয়ার আসনে বিজেপি এগিয়ে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৩২ ভোটে।কোচবিহারে বিজেপি এগিয়ে ৭৬৮৮০ আসনে। রায়গঞ্জে তৃণমূল এগিয়ে কংগ্রেস ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৪ ভোটে। বালুরঘাটে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ৮৮ হাজার ৯২০ ভোটে৷
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, এই ৫ জেলায় বিধানসভার সংখ্যা ৩৬ টি। এর মধ্যে সংরক্ষিত আসন ২০ টি। তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকা আসন ১৬ টি। অন্যদিকে বিজেপির দখলে আছে ২০টি আসন। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার ও উত্তর দিনাজপুরে মোট ৩ জন দল বদল করেছেন। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে ময়দানে তৃণমূল। কোনও কসুর ছাড়তে নারাজ নেতৃত্ব।
এই রাজ্যে রাজবংশী অধ্যুষিত বিধানসভার সংখ্যা ৩০। শতাংশের বিচারে দেখলে ২৫%। এর মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৯, বিজেপির দখলে ২১, তৃণমূল জিতেছে – মেখলিগঞ্জ, সিতাই, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ, মাল, করণদিঘি, হেমতাবাদ, ইটাহার, কুশমুন্ডি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ বিধানসভা ভোটে রাজবংশী অধ্যুষিত ১৯ আসন তৃণমূলের দখলে ছিল। তাই লড়াই অতটা সহজ হবে না বুঝেই কোমর বেঁধেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।