আগামী ২৩ মে-ই ১০০ বছর পূরণ করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই প্রয়াত হলেন ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহ। অস্ট্রিয়ার বাস ভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চার ধারা গড়ে তোলার জনক বলা হয় রণজিৎ গুহকে। ১৯৫৯ সালে দেশ ছাড়েন তিনি। তার পরে অধ্যাপনা করেন ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। শেষ জীবনে থাকতেন অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা উডসে, স্ত্রী মেখহিল্ড গুহর সঙ্গে।
এদিন রণজিৎ গুহর মৃত্যু সংবাদে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘প্রবাদপ্রতিম ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহর মৃত্যুতে আমি আমার গভীরতম শোক প্রকাশ করছি। অস্ট্রিয়ায় তাঁর বাস ভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।’
তাঁর সম্পর্কে বলতে গিয়ে মমতা এ-ও লেখেন যে, ‘রণজিৎ গুহ ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সূদূরপ্রসারী কাজ করেছেন। তিনি নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চার ধারা গড়ে তোলেন এবং বেশ কিছু সমমনোভাবাপন্ন তরুণ ঐতিহাসিককে নিয়ে একটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। এই নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চার প্রভাব পড়ে সারা পৃথিবীতে।’
রণজিৎ গুহর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতেও ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘ঐতিহাসিক গুহর প্রয়াণে জ্ঞানচর্চার পৃথিবীতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি রণজিৎ গুহর স্ত্রী মেখঠিল্ড গুহ সহ তাঁর সকল আত্মীয় পরিজন, ছাত্রছাত্রী ও অনুরাগীদের সকলকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’