প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় পারিখ, পিইউসিএল-এর মহারাষ্ট্র শাখার প্রতিনিধিরা শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকষর্ণ করেছিলেন, যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ঘৃণা ভাষণের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সেই আর্জির প্রেক্ষিতে ভিন্ন ধর্ম, জাত, ভাষাভাষিকে নিশানা করে দেদার ঘৃণা ও হিংসাত্মক ভাষণ প্রদানের ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় কঠোর পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার তারা বলেছে, প্রশাসনকে এই ব্যাপারে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য অভিযোগ দায়ের হওয়ার অপেক্ষা করা চলবে না। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের অর্থ, কেউ কোথাও ঘৃণা এবং হিংসাত্মক ভাষণ দিয়েছে কানে আসা মাত্র পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খরবের ভিত্তিতেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, আইনে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে ধর্ম, বর্ণ, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা ইত্যাদি নিয়ে অসম্মান করা হলে তা ঘৃণা ভাষণ বলে বিবেচিত হবে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় নাগরিকদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বৈষম্য বা শত্রুতা, ঘৃণা বর্ষণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এই ধরনের অপরাধে দোষী ব্যক্তির পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতের এই রায়টি একেবারে নতুন নয়। গত বছর দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট এমন রায় দিয়েছিল। ওই তিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি ঘৃণা ও হিংসাত্মক ভাষণের ঘটনা নিয়ে হওয়া মামলায় দেওয়া রায়টি এবার দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বলবৎ করতে বলেছে শীর্ষ কোর্টের দুই ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিভি নাগরত্না। বেঞ্চ বলেছে, প্রশাসন ঘৃণা ও হিংসাত্মক ভাষণ বন্ধে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তা আদালত অবমাননা বলে ধরা হবে। সেই সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নেবে।