এবার বাংলার প্রতিটি সরকারি স্কুলের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য। সম্প্রতি মালদার স্কুলে ঢুকে ব্যক্তির পণবন্দি করার ঘটনা নিয়ে সারা রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই প্রত্যেক স্কুলের সুরক্ষায় দারোয়ান নিয়োগ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন এমন নির্দেশই দিয়েছেন তিনি। আর সেই নির্দেশের পরই শুরু হয়েছে তৎপরতা। আগে সরকারি স্কুলগুলিতে দারোয়ান ছিল। সেই পদে লোক নেওয়া হত। কিন্তু কালের গতিতে অবসর নেন তাঁরা। তখন থেকেই শূন্যপদ তৈরি হয়। এবার সেখানে ফের দারোয়ান নিয়োগ করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এই দারোয়ান নিয়োগের বিষয়টি তিন বছর আগে নবান্নতে জানিয়েছিল রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর। কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, স্কুলে স্কুলে কেমন করে দারোয়ান নিয়োগ করা যেতে পারে তা নিয়ে পরিকল্পনার প্রয়োজন।
পাশাপাশি নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, আগের ফাইল এখন খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রামীণ স্কুলগুলির বেশকিছুতে সিসিটিভি লাগানো হলেও অধিকাংশ স্কুলে এখনও বাকি। এবার জেলার সরকারি স্কুলগুলিতে সিসিটিভি লাগানোর কথা ভাবা হয়েছে। প্রত্যেকটি স্কুলে তা লাগানো হবে। যাতে একদিকে চুরি অন্যদিকে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানো যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সকলে। তবে কবে দারোয়ান নিয়োগ হবে?, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিসিটিভি লাগানোর উদ্যোগ দ্রুত শুরু হতে পারে। এদিন প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “দরকার হলে পুলিশের থেকেও সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। আইডি কার্ড ছাড়া তো কাউকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়ারই কথা নয়। স্টুডেন্টদের তো আইডি কার্ড আছে। স্কুলে স্কুলে কেমন করে দারোয়ান নিয়োগ করা যেতে পারে তা নিয়ে ভাবনার দরকার আছে।” বলাই বাহুল্য, নিরাপত্তার স্বার্থে এমন উদ্যোগের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগাম সতর্কতার পথেই হাঁটতে চাইছেন তিনি।
