ফের প্রকাশ্যে এল বঙ্গ গেরুয়াশিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে জোড়া মৃত্যুতে বিজেপির ডাকা উত্তরবঙ্গ বনধ নিয়েও বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বনিবনার অভাব প্রকট হয়ে উঠল। রায়গঞ্জে দলের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ঘোষণা করা ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ বনধে প্রথমে বিরোধিতা করেও পরে সুর বদলালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে সুকান্ত মজুমদারের দু’রকমের বয়ানে বিজেপির অন্দরের মতানৈক্য একেবারে সামনে এল। তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় সমালোচনাও। বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়গঞ্জ থেকে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ঘোষণা করেন, কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীমৃত্যু এবং পুলিশি অভিযানে রাজবংশী যুবকের মৃত্য়ুর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিচ্ছে বিজেপি। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই বনধ সফল করার আবেদনও জানান রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ।
প্রসঙ্গত, এরপর বালুরঘাটের পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে বনধ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে জানান, এখনও দলের তরফে তেমন কোনও ভাবনাচিন্তা নেই। তবে এই ঘটনায় বড় পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে দল। তা বনধও হতে পারে, আবার উত্তরকন্যা অভিযানও হতে পারে। পরবর্তীতে দলের তরফে বনধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তিনি জানাবেন বলেও বলেন। এ বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও জানান, “দলের এমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা তাঁর জানা নেই। তবে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী রায়গঞ্জে বসে উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দিতেই পারেন।” এর আধঘণ্টা যেতে না যেতেই ফের ঘটল উলটপুরাণ! বিজেপি রাজ্য সভাপতিই ঘোষণা করেন, শুক্রবার উত্তরবঙ্গ জুড়ে বনধ করবে বিজেপি। সকলকে আবেদন, সমবেত হয়ে বনধ পালন করুন। সর্বাত্মকভাবে বনধ সফল করুন। স্কুল-কলেজে পরীক্ষা থাকলে, তা বনধের আওতায় রাখা হবে না। এবং ছাড় মিলবে জরুরিকালীন স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও। কিন্তু বাকি অঞ্চলে বনধ হবে। আর তাঁর এই ঘোষণা থেকে আরও একবার স্পষ্ট হল বঙ্গ বিজেপির অন্দরের তথৈবচ দশা।