ঋণের পর ঋণ নিয়ে গেছেন। এখন সুদে আসলে যার পরিমাণ অনেক। কিন্তু এক টাকাও ঋণ পরিশোধ করেননি বিজেপি বিধায়ক। মঙ্গলবার বিধায়ককে নোটিস ধরালেন সমবায় কর্তৃপক্ষ। এই নোটিসে তাকে ১০ মে-র মধ্যে ঋন পরিশোধ করার জন্য সময়সীমা চুড়ান্ত করে দেওয়া হয়েছে।
ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়। ২০১০ সালে তিনি ময়নাগুড়ির চুকানী পাড়া সমবায় উন্নয়ন সমিতি থেকে ২৩ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এক টাকাও পরিশোধ না করায় যেই ঋন বাবদ ৩১ মার্চ ২০২৩ অবধি কেবলমাত্র সুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯,৪৭৫ টাকা। অর্থাৎ সুদে আসলে বর্তমান ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২,৪৭৫ টাকা।
তৃণমূলের দাবি, কৃষক না হয়েও চাষ আবাদের জন্য ঋণ নিয়ে টাকা আটকে রেখেছেন ময়নাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়। যদিও কৌশিক বাবুর দাবি, নোটিসের কপি তিনি হাতে পাননি। তবে যে সময় ঋণ নিয়েছিলেন সেই সময় কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিধায়ক কৌশিক রায়কে আক্রমণ করতে ছাড়েননি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির বিধায়ক কৌশিক রায় কোনও দিন কৃষিকাজ করেননি।কার্যত মিথ্যে পরিচয় দিয়ে বাম আমলে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে একটি টাকাও পরিশোধ না করায় আজ তাঁকে ঋন খেলাপির নোটিস ধরানো হয়েছে। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।