কর্ণাটকে ড্যামেজ কন্ট্রোলে অবশেষে ময়দানে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিক্ষুব্ধদের বাগে আনতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সংসদীয় কমিটির সদস্য বিএস ইয়েদুরাপ্পার দৌত্য ব্যর্থ হওয়ায় শুক্রবার থেকে সক্রিয় হয়েছেন মোদী-শাহ জুটি। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার ভোররাত পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলে কর্নাটক বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ। ভোটের মুখে ধরে বসে যাওয়া বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বিএস ঈশ্বরাপ্পার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদী।
শনিবার শাহ রাজ্যের লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কর্নাটকের যে যে সম্প্রদায়ের সমর্থন ছাড়া নির্বাচনী বৈতরণী পেরনো কঠিন। দক্ষিণের এই রাজ্যে বিজেপিকে চিন্তায় ফেলেছে এই সম্প্রদায়ের সমর্থন পাওয়া নিয়ে। বিক্ষুব্ধ এবং দলত্যাগী নেতাদের বেশিরভাগই ওই সম্প্রদায়ের মানুষ। সব দলেরই কম-বেশি প্রভাব রয়েছে ওই সম্প্রদায়ের উপর।
তার উপর প্রার্থী বাছাই নিয়ে গত দিন পনেরো ধরে তুমুল গোলমাল চলছে কর্নাটক বিজেপিতে। দলের সিদ্ধান্তে অখুশি এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং দুই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তাঁদের দু’জন যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। এখন একাধিক আসনে প্রার্থী নিয়ে অশান্তি থামার লক্ষণ নেই। পথ অবরোধ, পার্টি অফিস ঘিরে রাখা, ইত্যাদির জেরে প্রচারে যেতে পারছেন না নেতারা।
অবস্থা সামাল দিতে শুক্রবার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাকে ফোন করেন মোদী। সাতবারের বিধায়ক ঈশ্বরাপ্পা এবার প্রার্থী ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে ঘোষণা করেন তিনি এবার লড়তে চান না। দলকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। পরে জানা যায়, টিকিট পাচ্ছেন না জানতে পেরেই প্রার্থী না হওয়ার কথা বলেন ঈশ্বরাপ্পা। তারপর থেকেই তাঁর সমর্থকেরা বহু পার্টি অফিস দখল করে রেখেছে। ঈশ্বরাপ্পা ঘোষণা করেন, তিনি প্রচারেও নামবেন না।
আসলে প্রাক্তন এই উপমুখ্যমন্ত্রীকে সরকারি কাজের বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গত বছর মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে অন্যায়ভাবে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে। গোটাটাই ছিল মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের ষড়যন্ত্র। মোদী তাঁকে ফোনে প্রচারে নামার আর্জি জানান। তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকতেও প্রবীণ এই নেতাকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।