ইদের সকালেই বাংলার সংখ্যালঘু সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে দিল্লির মোদী সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিলেন এক বছর বাদে যখন লোকসভা নির্বাচন হবে তখন কিন্তু দেশে আর গেরুয়া ব্রিগেডের সরকার থাকবে না। কিন্তু তার জন্য সকলকে সব ভয়ডর প্রোলোভন এড়িয়ে যেমন বাড়ির বাইরে এসে ভোট দিতে হবে তেমনি সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে। এর পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না নিয়েই তাঁকে কটাক্ষ হেনে বলেছেন, ‘ভাঙচুর করে দেশের নেতা হওয়া যায় না’
শনিবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র ইদের উৎসব। প্রতিবছর এই দিনে কলকাতার রেড রোডের বুকে নামাজের যে অনুষ্ঠান হন সেখানে যান মমতা। তিনি যখন বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তখনও তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন, সংখ্যালঘু সমাজের মানুষকে শুভেচ্ছে বার্তা ও অভিনন্দন দিতেন। একই সঙ্গে দিতেন রাজনৈতিক বার্তাও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েও সেই রীতিতে ছেদ পড়তে দেননি বাংলার অগ্নিকন্যা। তাই এদিনও তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হাজির হন রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে। তারপর সেই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি নাম না করেই একদিকে যেমন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তেমনি সংখ্যালঘু সমাজের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন।
মমতা এদিন বলেছেন, ‘লোকতন্ত্র চলে গেলে সব চলে যায়। আজ দেশের সংবিধান এবং ইতিহাস বদলে যাচ্ছে। যা খুশি করছে। তার পর এনআরসি আনার কথা বলেছে। কিন্তু আমি ও সব কিছু হতে দেব না। আমি মাথা ঝোঁকাব না। ভরসা রাখুন। আমরা লড়াই করব, ভয় পাব না। বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে। আর এক বছর পর লোকসভা নির্বাচন। ঠিক হয়ে যাবে সরকারে কে থাকবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সবাই এসে ভোট দেবেন। কারও কথা কানে তুলবেন না। কাউকে ভয় পাবেন না। সকলে এক জোট হলে কেন্দ্রের গদি উল্টে যাবে। কেউ বা কারা যদি মনে করে মুসলিম ভোট ভেঙে দেবেন তা সম্ভব নয়। তাঁরাই মানুষ, যাঁরা মানবিক। যাঁরা সবাইকে নিয়ে চলেন, তাঁরাই দেশের নেতা। এ রকম ভাঙচুর করে দেশের নেতা হওয়া যায় না। আমি প্রার্থনা করব যেন এই দাদাগিরি আটকে দেওয়া হয়। আমরা এক সঙ্গে হলে চেয়ার নড়ে যাবে। আমাদের তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সঙ্গেও লড়তে হচ্ছে। আমাদের জ্বালাচ্ছে। আরও জ্বালাবে। তবে আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’