প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া প্রবল। মাথাব্যথা আরও বাড়িয়েছে দলে গোষ্ঠীকোন্দল ও প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ। তাই দক্ষিণের একমাত্র রাজ্যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভরসা সেই নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। কর্ণাটকে ১৮ দিনে ২০টি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লি বিজেপি সূত্রে খবর, একমাত্র দক্ষিণী রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে ময়দানে নামাতে হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে সভার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রোড শো করানোর চেষ্টাও চলছে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষনেতা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেরুয়া শিবির মরিয়া। কারণ, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন রাজ্যে পালাবদল হলেও দক্ষিণের কোনও রাজ্যে সরাসরি ভোটে জিতে মসনদ দখলে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। একমাত্র এখানেই ২০০৮ সালে এককভাবে ক্ষমতায় আসে বিজেপি।
এখন কর্ণাটকে ক্ষমতায় থাকলেও ‘অপারেশন লোটাস’ করে দখল নিতে হয়েছে। ফলে কর্ণাটকে ক্ষমতা ধরে রাখা এখন শিবিরের কাছে ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। তাই ভোট ঘোষণার আগে যেমন বারবার প্রধানমন্ত্রীকে কন্নড় রাজ্যে ছুটে যেতে হয়েছে। তেমন প্রচারে অমিত শাহ ও নাড্ডাদের পাশাপাশি ঘাম ঝরাতে হবে মোদীকেও। আবার কংগ্রেসের তারকা প্রচারকের তালিকায় সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ির নাম থাকায় তোপ দেগেছে বিজেপি।