হাতে আর বেশিদিন নেই। আগামী বছরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে ফের ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার যেমন যোগী সরকার নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, সড়ক আটকে কিংবা যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না উত্তরপ্রদেশে। বুধবার উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব সঞ্জয় প্রসাদ এবং পুলিশের ডিজি আরকে বিশ্বকর্মা ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জেলা স্তরের পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। সঞ্জয় বলেন, ‘কোনও অবস্থাতেই রাস্তা আটকে বা যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং শোভাযাত্রা করা যাবে না। উপাসনাস্থল বা নির্ধারিত জায়গাতেই অনুষ্ঠান সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।’ এই নির্দেশিকা যে মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশেই তা জলের মত স্পষ্ট। স্বাভাবিক ভাবেই ঈদের আগে যোগী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, মুসলিম ব্যক্তিরা আর কোনও মন্দিরের কাজে অংশ নিতে পারবেন না। জানুয়ারি মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সদস্যরা মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাস দপ্তরের মন্ত্রী উষা সিং ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক সারেন তাঁরা। তারপরেই দপ্তরের তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরের কোনও কাজেই মুসলিমদের নিয়োগ করা যাবে না। মন্দিরের প্রশাসনিক কমিটিতেও ঠাঁই হবে না মুসলিমদের। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশের ফলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মা সারদা মন্দির থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে দুই মুসলিম কর্মচারীকে। যাঁরা ৩৫ বছর ধরে মন্দিরের সমস্ত কাজ করেছেন। উল্লেখ্য মা সারদা মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিংবদন্তি সরোদবাদক বাবা আলাউদ্দিন খানের নাম। শক্তি পীঠের অন্তর্গত এই মন্দিরে এসে নিয়মিত সরোদ বাজাতেন তিনি। হিন্দু মন্দির হলেও এতদিন সর্বধর্ম সমন্বয়ের সাক্ষী থেকেছে এই মন্দির।