সরকারি দফতরের এক আধিকারিক ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা সেই খবর পেয়ে তাঁকে ধরতে এসেছিলেন। ওই সরকারি আধিকারিক তখন তড়িঘড়ি নিজের দু’টি মোবাইল সহকর্মীর হাতে দিয়ে দেন। কোনও কিছু না ভেবে ফোন দু’টি সোজা নদীতে ছুড়ে ফেলে দেন ওই সহকর্মী। এই ঘটনাটি আর কোথাও নয়, ঘটেছে গুজরাতে।
সিবিআই সূত্রে খবর, গত অক্টোবরে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর গুজরাট অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো ফাঁদ পেতেছিল। সেই মতো সংশ্লিষ্ট দফতরের গোয়েন্দা আধিকারিকরা হাজির হন আয়কর দফতরের অফিসে। সেই সময় অভিযুক্ত আয়কর আধিকারিক তাঁর সহকর্মীকে ফোনগুলি দিয়ে দেন। দ্বিতীয় ব্যক্তি ফোনগুলি নদীতে ফেলে দেওয়ায়, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) সিবিআই তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আমেদাবাদের আয়কর দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বিবেক জোহরিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, গত ৪ অক্টোবর তিনি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত আইআরএস অফিসার সন্তোষ কারনানিকে সাহায্য করেছিলেন। সেই সময় তিনি আয়কর দফতরের অ্যাডিশনাল কমিশনার ছিলেন।
খবরে প্রকাশ, আমেদাবাদের এক বিল্ডার রূপেশ ব্রহ্মভট্ট গুজরাত এসিবি’র কাছে অভিযোগ করেছিলেন এবিষয়ে। তাঁর দাবি ছিল, কারনানি তাঁর কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চেয়েছেন ঘুষ হিসেবে। তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও রকম ব্যবস্থা নেবেন না তিনি। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ফাঁদ পাতা প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধারের পর আশ্রম রোডের আয়কর দফতরে এসিবি টিম যখন কারনানিকে গ্রেফতার করতে পৌঁছায়, জোহরি তখন তথাকথিতভাবে ঝামেলা সৃষ্টি করেছিলেন কারনানিকে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে’।