১৪ এপ্রিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বোলপুরে সেন ‘প্রতীচী’-র গেটে উচ্ছেদের নোটিস টাঙিয়ে দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়। এবার সেই নোটিসের আইনি যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেন।
সোমবার বিশ্বভারতীকে যে চিঠি লিখেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কীভাবে কেউ এই জমি দাবি করতে পারেন? ‘প্রতীচী’-র জমির আইনশৃঙ্খলা ও শান্তিরক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। সেটাই অমর্ত্য সেন মনে করিয়ে দেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। অমর্ত্য সেন আরও বলেন, জুন মাসেই শান্তিনিকেতনে ফিরবেন তিনি।
অমর্ত্য সেনের এই জমি বিতর্ক নতুন নয়। বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই জমি ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয় অমর্ত্য সেনকে। অন্যদিকে এই জমি বিবাদে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বোলপুরে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে রাজ্য সরকারের তরফে জমির দলিল তুলে দেওয়া হয়। সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা তোপ দাগেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যও। তবে জটিলতা বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ অমর্ত্য সেনকে সরাসরি উচ্ছেদের নোটিস পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি ২৯ মার্চ তাঁকে শুনানিতেও ডাকা হয়েছিল। যদিও সেদিন সেখানে যাননি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
তারপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘প্রতীচী’-র গেটের বাইরে উচ্ছেদ নোটিস লাগিয়ে দেয়। যা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। বর্তমানে অমর্ত্য সেন বিদেশে রয়েছে৷ তাঁর অনুপস্থিতিতে শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাড়ি ও জমি বেদখল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অমর্ত্য সেনের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য শান্তিনিকেতন থানাকে নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।