কলকাতা সিবিআই-র নোটিস প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গতকালের টুইট এর পর তথ্য তলব সিবিআইয়ের দিল্লির সদর দফতরের। সিবিআই সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার সত্বেও কেন দুপুরে পাঠানো হল নোটিস?
নোটিসে উল্লেখ রয়েছে ১৬ তারিখ, কিন্তু সেটা কেন একদিন পরে দেওয়া হল? এই মর্মে জানতে চেয়ে কলকাতার সিবিআই এর নিজাম পালেসের দফতরের এসিবি প্রধানকে ফোন সিবিআই এর সদর দফতরের। কলকাতা সিবিআই-এর তরফ থেকে দিল্লিতে জানানো হয় যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিষয়ে তাদের কাছে কোন খবর ছিল না। পাশাপাশি নোটিস রিসিভ করার সময়ে এই বিষয় নিয়ে কেউ কিছু জানায়নি। সিবিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেছিলেন, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রভাবশালী নেতাদের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে ইডি। এ নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে জেলার মারফত একটি চিঠিও দিয়েছেন কুন্তল। সেই চিঠির বিষয়বস্তু জানতে হাইকোর্টেও যায় ইডি। সেই সময় গোটা বিষয়টি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষিতে ইডির আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সরাসরি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলে বসেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে খুব দ্রুত একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই-ইডি। কিন্তু সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই বিষয়ে অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। নির্দেশে জানানো হয়, আপাতত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মামলার পরবর্তী শুনানি ছিল ২৪ এপ্রিল।