এবার হাওড়া থেকে গয়া যাওয়ার পথে ট্রেনের এসি কামরায় উঠে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম ঐন্দ্রিলা দাস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে হাওড়া থেকে ১৩০২৩ হাওড়া-গয়া এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন ঐন্দ্রিলা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের কোচ নম্বর ছিল এসি বি ২। ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘আমরা যে যার সিটে গিয়ে বসে পড়েছিলাম। ৪৯-৫৪ ছিল আমাদের সিট সংখ্যা। হাওড়া ছেড়ে ট্রেন তখন বেশ গতিতে ছুটছে। আধ ঘণ্টা পর হঠাৎ দেখলাম আমাদের সিটের নীচ থেকে দু’একটা আরশোলা বেরিয়ে এল।’
আরশোলাগুলিকে তাড়ানোর চেষ্টা করতেই সেগুলি ফোকরে ঢুকে পড়ে। এসি কামরায় এত টাকা ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন, অথচ আরশোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে— এমন একটা পরিস্থিতিতে বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন সোদপুরের তরুণী। তাই আর দেরি না করে কামরার দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজারকে ডেকে বিষয়টি দেখান তিনি। ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন, এর পর সুপারভাইজার একটি কীটনাশক স্প্রে নিয়ে এসে ছড়িয়ে দেন। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই আবার ফাঁকফোকর দিয়ে আসনের নীচ থেকে পিল পিল করে আরশোলা বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এরপরেই ফের সুপারভাইজারের কাছে ছোটেন তিনি। কিন্তু কমপ্লেন জানাতেই তিনি জানান, কমপ্লেন বুক তাঁর কাছে নেই। ওটা গার্ডের কাছে রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, তাঁকে বলা হয়েছিল, যদি অভিযোগ জানাতে হয়, তা হলে অনলাইনে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
ঐন্দ্রিলার অভিযোগ, কামরার দায়িত্বে থাকা রেলের কর্মীরা তাঁকে জানান, কমপ্লেন বুক বলে কিছু হয় না। অনেক দিন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ জানাতে হলে অনলাইনে জানাতে হবে। এ ভাবে রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত কেটে যায়। ভাগলপুর স্টেশনে ট্রেন পৌঁছলে তাঁকে কমপ্লেন বুক দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর আরও অভিযোগ, অনলাইনে যখন অভিযোগ জানিয়েছেন, তৎক্ষণাৎ উত্তর পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু যে গ্রাউন্ড স্টাফদের সেই সমস্যা সমাধানে পাঠানো হয়েছিল, তাঁরা আগেও এসেছিলেন। যে গ্রাউন্ড স্টাফদের তিনি সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, অনলাইনে অভিযোগ জানানোর পরে সেই গ্রাউন্ড স্টাফদেরই আবার সমস্যা সমাধানে পাঠানো হয়।