উত্তরপ্রদেশ বোর্ড ও সিবিএসই দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠক্রম থেকে মুঘল ইতিহাস বাদ পড়েছে। যার পর শিক্ষাক্ষেত্রে গেরুয়াকরণের অভিযোগ উঠেছে। এইসঙ্গে নয়া সিলাবাসে থেকে মুছে ফেলা হয়েছে মহাত্মা গান্ধী সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য! যার মধ্যে রয়েছে নাথুরাম গডসের গান্ধীহত্যা এবং ব্রিটিশ ভারতে আরএসএসের নিষিদ্ধ হওয়া। গোটা ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী। তাঁর মতে, বরাবরই মহাত্মা গান্ধীর প্রকৃত পরিচয় ও উত্তরাধিকার আরএসএস ও বিজেপির অস্বস্তির কারণ। তুষারের কটাক্ষ, সিলেবাস বদলে ঘটনায় তিনি অবাক হননি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তুষার বলেন, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের উদ্যোগে ভবিষ্যতে এমন কাজ আরও হতে পারে। সঙ্ঘ পরিবারের লক্ষ্যই হল, ভারতের ইতহাসকে নিজেদের মতো করে পরিবেশন করা। গান্ধীহত্যা, তার পিছনের ষড়যন্ত্র, খুনের তদন্ত, এই সংক্রান্ত মামলা মুছে ফেলার কারণ সঙ্ঘ পরিবারের সংক্রান্ত ভুয়ো ইতিহাসকে প্রতিষ্ঠা দেওয়া।
‘আসুন গান্ধীকে হত্যা করি’ গ্রন্থের লেখক তুষার এদিন বলেন, ‘সঙ্ঘ পরিবারের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টায় আমি একেবারেই অবাক হইনি। ওরা রাখঢাক না রেখে বহুবার জানিয়েছে, বর্তমান ইতিহাসকে ভুল প্রমাণ করা এবং নতুন করে নিজেদের মতো ইতিহাস লেখাই ওদের উদ্দেশ্য। দু’টি কারণে এই কাজ করতে চায় ওরা। প্রথমত, ওদের মানসিকতা অনুযায়ী ভারতের ইতিহাস লিখতে চায় ওরা এবং মহাত্মা গান্ধীকে ওদের চোখ দিয়ে প্রতিষ্ঠা দিতে চায়। যেহেতু মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রকৃত পরিচয় বরাবরই ওদের অস্বস্তির কারণ হয়েছে’।