পর্যটনক্ষেত্রে অভিনব পদক্ষেপের পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার জঙ্গল পর্যটনে নতুন দিশার সাক্ষী থাকতে চলেছে বাংলা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে অনেকেই প্যাকেজ ট্যুরে যেতে ভালোবাসেন। জঙ্গল পর্যটনে নয়া প্যাকেজ আনার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য বনদফতর। এতে জঙ্গলে বেড়ানো, হাতি সাফারি, বন বাংলোতে থাকা, স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে সেখানে যাওয়া সবক্ষেত্রে সহায়তা করবে বনদফতর। অর্থাৎ প্যাকেজের মধ্যেই থাকতে পারে গোটা বিষয়টি। বিশেষত, দেশ তথা বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে বেড়াতে আসতে চান তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মঙ্গলবার মাদারিহাটে সংবাদমাধ্যমের সামনে এ প্যাকেজ ট্যুরের ভাবনার কথা তুলে ধরেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
জানা গিয়েছে, এই প্যাকেট ট্যুরের মাধ্যমে নিকটবর্তী স্টেশন বা বিমানবন্দরে পৌঁছে যাওয়ার পরে আর কিছু ভাবতে হবে না পর্যটকদের। এক্ষেত্রে নিকটবর্তী স্টেশন বা বিমানবন্দর থেকে পর্যটকদের গাড়িতে তুলে নেওয়া হবে। জঙ্গলের সফর শেষ হলে ফের স্টেশনে বা বিমানবন্দরে তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হবে। পর্যটকদের জন্য খাওয়া দাওয়া, তাদের জন্য জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা করবে বনদফতর। অনলাইনেই এই বুকিংয়ের বন্দোবস্ত থাকবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপায়িত হলে পর্যটকরা একেবারে সরকারি বনদফতরের মাধ্যমেই বেড়াতে পারবেন। জলদাপাড়াকে মডেল করে প্রথম পর্যায়ে এই পর্যটনের বিশেষ ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়িত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুজোর আগে এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য, এখন ডুয়ার্সে বেড়াতে গেলে অনেকেই বেসরকারি প্যাকেজ ট্যুরে যান। সেক্ষেত্রে সেই প্যাকেজের মধ্যে লাটাগুড়ি, গরুমারা, জলদাপাড়ার জঙ্গল সাফারি থাকে। তবে এবার বনদফতর নিজেই এই উদ্যোগ নিচ্ছে। পুরোটাই ঘটবে বনদফতরের তত্ত্বাবধানে। এক্ষেত্রে পর্যটকরা যাতে জঙ্গলের নিয়ম মেনে যাবতীয় কাজ করেন, সে ব্যাপারেও অনুরোধ করা হয়েছে। এবার কবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ভ্রমণপিপাসুরা।