একমাস আগে যখন রাজ্যে প্রথম কর্মবিরতির ডাক তোলা হয়েছিল, তখনই তা ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ করেছিল নবান্ন। রাজ্যের অর্থদফতর রীতিমত বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কর্মবিরতিতে যোগ দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের এই ‘দাওয়াই’ যে কাজে এসেছে, যত দিন যাচ্ছে তার প্রমাণ মিলছে। কারণ ইতিমধ্যেই বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের শুরু করা ডিএ আন্দোলন।
আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারি কর্মী, শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে গঠিত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে মহার্ঘ ভাতা সহ অন্যান্য দাবিকে ঘিরে। এর আগেও মার্চ মাসে এই ধরনের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মবিরতি ঘিরে রাজ্য সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে কার্যত যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল। দুই তরফেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল কর্মবিরতিকে সফল ও ব্যর্থ হিসাবে তুলে ধরার জন্য।
কিন্তু এদিন যখন আবারও কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হচ্ছে দেখা যাচ্ছে সেই আগের মাসের ছবিটাই উধাও। এদিনের কর্মবিরতি সফল করতে না সেভাবে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে না তা ঠেকাতে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে। আর তার জেরেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে ডিএ আন্দোলন। অনেকেই মনে করছেন আন্দোলন তার ঝাঁঝ হারাচ্ছে।