সংসদ শুরু হতে না হতেই মুলতুবি! একদিন নয়, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে প্রায় প্রতিদিনই মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতেই কেন্দ্রীয় সরকার সংসদ অধিবেশন বানচাল করে দিয়েছে, এই অভিযোগ নিয়েই এবার রাজধানীর রাজপথে নামছেন বিরোধীরা। আজ, বৃহস্পতিবার একাধিক বিরোধী দলের সাংসদরা মিলিতভাবে সংসদ থেকে বিজয় চক অবধি তিরঙ্গা মার্চ করবেন। সংসদের দুই কক্ষ মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর তারা তিরঙ্গা মার্চ বের করবেন। এরপরে বিরোধী সাংসদরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলেও জানা গিয়েছে।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, সরকার যেভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে প্রতিদিন সংসদের দুই কক্ষ মুলতুবি করে দিয়েছে, তার প্রতিবাদে বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদরা মিলিতভাবে সংসদ চত্বর থেকে বিজয় চক অবধি তিরঙ্গা মিছিল করবেন। তিনি জানান, এদিনের কর্মসূচির পাশাপাশি ভবিষ্যতেও সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচিতে একজোট হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালও জানান, বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিতভাবে সংসদের দুই কক্ষ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরই তিরঙ্গা মিছিল করা হবে। তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব সম্পূর্ণরূপে বিফল হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের মনোভাবের কারণে। এই প্রথং ট্রেজারি বেঞ্চ অধিবেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিল। আদানি ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য শুনতে অস্বীকার করেছে সরকার, এমনকী বিরোধীরা কী কারণে আলোচনার দাবি করছেন, তাও শুনতে চাননি’।
বুধবারই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের কক্ষে একাধিক বিরোধী দলের নেতারা মিলিত হন এবং সংসদের অধিবেশনে তাদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন। কংগ্রেসের ডাকা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা (উদ্ধব বাল ঠাকরে), আম আদমি পার্টি, জেডি(ইউ), সিপিআই, সিপিআই(এম), আরজেডি, জেএমএম, আরএসপির মতো একাধিক বিরোধী দল। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এরপরে কংগ্রেসের সাংসদরা নিজেরাও সংসদীয় কমিটির বৈঠক করেন এবং নিজেদের রণনীতি ঠিক করেন।