দশরথপুত্র রামের জন্ম অযোধ্যায়। অযোধ্যা এখন উত্তরপ্রদেশের একটি জেলা। সীতার জন্ম জনকপুর নেপালের মিথিলা অঞ্চলের একটি প্রাচীন জনপদ। বৃহস্পতিবার গোটা দেশে পালিত হচ্ছে হনুমান জয়ন্তী। কোথায় জন্মেছিলেন রামভক্ত হনুমান, এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হনুমানভক্তরা।
সীতার জন্মস্থান নিয়ে কোনও বিতর্ক না থাকলেও নেপালের প্রথমসারির রাজনীতিক কেপি শর্মা অলি বছর কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দাবি করেন, ভগবান রাম নেপালি। তাঁর যুক্তি, অযোধ্যা নেপালেরই অংশ ছিল। তবে অলির দাবি নিয়ে নেপাল সরকার পরবর্তীকালে আর টুঁ শব্দটি করেনি ভারত সরকার এবং অযোধ্যার মহন্তদের জোরালো প্রতিবাদের মুখে। কিন্তু রামভক্ত হনুমানের জন্মস্থান নিয়ে কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের পুরনো বিবাদ ক্রমে মাথাচা়ডা দিচ্ছে। দুই রাজ্যই পবনপুত্রের জন্মস্থানের অধিকার নিয়ে সরব। বিষয়টি আদালতেও গড়িয়েছে হালে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটক, দুই হাইকোর্টই দুটি পৃথক মামলায় জন্মস্থান বলে চিহ্নিত এলাকায় নতুন নির্মাণে স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
কর্নাটকবাসীর দাবি, ভগবান হনুমানের জন্ম কোপ্পালা জেলায় আনাগুন্ডি মহকুমার কিষ্কিন্ধ্যায় অঞ্জনান্দ্রি পাহাড়ে। দক্ষিণভারতের আর এক রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের দাবি, হনুমান ভগবানের জন্ম তিরুপতির সাত পাহাড়ের একটিতে।
আবার ঝাড়খণ্ডের মানুষের দাবি, গুমলা জেলা অঞ্জনধাম বা অঞ্জন গাঁওয়ের যে দর্শনীয় গুহাটিই হনুমানের জন্মস্থান। প্রতিদিন বহু মানুষ সেখানে পুজো দেন। হনুমান জয়ন্তীতে মেলা বসে। তবে হনুমানের জন্মস্থান নিয়ে বিবাদ মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়েছে কর্নাটক আর অন্ধ্র্রের দাবি ঘিরেই।
তিরুমালা পর্বতের চূড়ায় হনুমানের জন্মস্থান হিসাবে চিহ্নিত এলাকায় তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম কর্তৃপক্ষ হনুমান মন্দির পরিসরে ভক্তদের পরিষেবা দিতে বিরাট নির্মাণ কাজের উদ্যোগ নিয়েছিল। তাতে বাদ সাধে কর্নাটক শ্রী হনুমান তীর্থ ক্ষেত্রে ট্রাস্ট। ট্রাস্টের পক্ষে গোবিন্দানন্দ সরস্বতী অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করায় তিরমালা পাহাড়ে নতুন মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ ভূমি পুজোতেই থমকে গিয়েছে। পাল্টা মামলা হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টেও।