কথা রাখলেন না কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন না তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এর পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “আমাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন না। তাই প্রতিশ্রুতি দিয়েও দেখা করলে না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।” পাশাপাশি তাঁর হুশিয়ারি, ‘এভাবে রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে রাখা যায় না। ২-৩ মাসের মধ্যে টাকা না পেলে লক্ষ লক্ষ বঞ্চিতদের নিয়ে দিল্লি ঘেরাও করব।” তৃণমূল সাংসদদের দাবি, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার দেখা করার জন্য সাত দিন আগে সময় চেয়ে নিয়ে ছিল তৃণমূল। মন্ত্রী প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদদের নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে গিয়ে জানতে পারেন দিল্লিতেই নেই মন্ত্রী। এমন কি তাঁর প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন না গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। তৃণমূল সাংসদরা মন্ত্রকের ভিতর ঢুকতে চাইলে তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে সচিবকে গিয়ে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এদিন কৃষিভবন থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়িয়ে বলেন, “এভাবে টাকা আটকে রাখা যায় না। আপনারা বলছেন বেনিয়ম হয়েছে। কটা বেনিয়ম? সেগুলোর তদন্ত হোক। বাকিগুলোর টাকা ছেড়ে দেওয়া হোক। ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার মানষের টাকা আটকে আছে। কেন আটকে রাখা হচ্ছে তার কোনও সদুত্তর নেই কেন্দ্রের কাছে। বেনিয়ম হলে তদন্ত হোক। সিবিআই ডাকুক।” অভিষেকের হুঁশিয়ারি, “এর আগে আমরা ৯ মাস অপেক্ষা করেছি। আর নয়। ১০-১২ দিনের মধ্যে বৈঠক ডাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সচিব। দু-তিন মাসের মধ্যে টাকা না দিলে বঞ্চিতদের নিয়ে দিল্লী ঘেরাও করব।” উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজে ৭ হাজার কোটি টাকা পাওয়া রয়েছে রাজ্যের। এর আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে বকেয়া মেটানোর দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। কিন্তু মেলেনি কোনও সুরাহাসূত্র।
