প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদানি প্রসঙ্গে পারতপক্ষে ঢুকতেই চাইছেন না। দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও আদানি ইস্যুতে কোনও জবাব দেওয়ার ধার ধারেননি। পরিস্থিতি যখন এমনই, তখন সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবি তদন্ত করতে নেমে আদানির লেনদেনে বিস্তর গোলমাল পেয়েছে।
হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে আদানিদের সম্পর্কে যা যা বলেছিল তারমধ্যে অন্যতম ছিল, এক-শেয়ারের দাম ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো। দুই- শিখণ্ডি সংস্থার মাধ্যমে ব্যবসার বৃদ্ধি দেখিয়ে শেয়ার দর আকাশচুম্বি করে রাখা। তিন-একাধিক বিদেশি সংস্থাকে জুড়ে নিয়ে গোটা কারবার চালানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির নামে ব্যাঙ্কক, তাইল্যান্ডে যে সব সংস্থা আছে সেখানে কীভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল তা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাহুল গান্ধী বহুদিন থেকেই বলে আসছেন, আদানির এই ব্যবসা বৃদ্ধি পুরোটাই একটা বাবল। অর্থাৎ বুদবুদের মতো। যে কোনও দিন একটা সামান্য আলপিন তাকে চুপসে দিতে পারে। সেইসঙ্গে হিন্ডেনবার্গ পর্বের পর বিরোধীরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে, যেভাবে বিনোদের সংস্থায় টাকা দেওয়া হয়েছে তারপর কৃত্রিমভাবে শেয়ারদর বাড়িয়েছে, তা বেআইনি।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে এমন আত্মীয়দের সঙ্গে লেনদেন কী হবে আর দূরের আত্মীয়দের সঙ্গে কী হবে তা স্পষ্ট বলা আছে। আদানির মতো ব্যবসায়ী তা জানেন না এমন নয়। কিন্তু যেটা ঘটেছে তা হল, বিনোদকে সঙ্গে নিয়েই এই কাজটা করেছিলেন গৌতম। সেবি সেসব প্রাথমিক রিপোর্ট হিসাবে রবিবার আদালত নিযুক্ত প্যানেলকে জমা দেবে।