বামফ্রন্ট সরকারের সময় চিরকুটে চাকরি হতো বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার নেতারা। রোজই একটা করে টুইটের সঙ্গে নথি প্রকাশ করছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। এই আবহে সামনে এসে নিজে চাকরি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেন একদা শাসনের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাম নেতা মজিদ মাস্টার।
বারাসত আদালতে এসেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি রাস্তার লোক। চিরকুট দেখে চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা আমার ছিল না। তবে আমাদের স্কুলে একবার নিয়োগের প্রয়োজন হয়েছিল। আমারই এক ছাত্রীকে ডেকে এনে স্কুলে চাকরি দিয়েছিলাম। অনেকেই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তফসিলি জাতির ওই মেয়েটিকেই কাজটা দিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, কাওড়াপাড়ার ওই মেয়েটিকে চাকরি দিলে তফসিলিদের মধ্যে উৎসাহ জাগবে। তাই করেছি।’ এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিপিএমের এককালের দাপুটে নেতা মজিদ আলি ওরফে মজিদ মাস্টার।
বামেদের যখন ভরা বাজার, ক্ষমতার তুঙ্গে, তখন বিরোধী দলগুলির কাছে ত্রাস ছিলেন এই মজিদ মাস্টার।তবে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর গ্রামছাড়া মজিদ মাস্টার ২০১৫ সালের পর থেকে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যান। কয়েক বছর আগে অবশ্য শাসনে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে ঝুলছে। তেমনই একটি মামলায় বারাসত আদালতে হাজির হয়েছিলেন। আদালত থেকে বেরিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মজিদ মাস্টার বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। আমি মন্তব্য করব না। তবে সিপিএম যদি চিরকুট দিয়ে চাকরি দিয়ে থাকে, তবে বর্তমান সরকার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’