বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বলে আসছেন, বিজেপি দেশের সামাজিক ন্যায়ের রাজনীতিকে ল ধ্বংস করার মতলব করছে। তারা বৃহত্তর হিন্দু ঐক্য করার নামে সমাজের পশ্চাৎপদ অংশকে কাছে টানতে চাইছে। জাতের অঙ্কে সব সম্প্রদায়ের ওপর দখলদারি প্রতিষ্ঠার পর তারা আবার উচ্চবর্ণের শাসন চাপিয়ে দেবে। ভারতবর্ষকে এই ভাবে পুরনো বর্ণবাদী সমাজে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাদের লক্ষ্য। আর তাই বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে আগামী ৩ এপ্রিল সোমবার চেন্নাইয়ে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই কলকাতা ময়দানের ধর্না মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী সব দলের বোঝাপড়া গড়ে তোলার কথা বলেছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকের কথা জানালেন স্ট্যালিন। বাংলার ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক বোঝাপড়াও বেশ ভাল। গত বছর চেন্নাই সফরে গিয়ে মমতাই ডিএমকে নেতাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন সব দলকে নিয়ে কনক্লেভের আয়োজন করতে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিজেপির সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলা দুই দল ওড়িশার বিজেডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসও স্ট্যালিনের বৈঠকে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে তৃণমূলের তরফে থাকবেন দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। এবং সিপিএম ও সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজা বৈঠকে যোগ দেবেন। এর পাশাপাশি বৈঠকে অংশ নেবেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, আপ নেতা সঞ্জয় সিং প্রমুখ। কংগ্রেসের তরফে থাকতে পারেন স্বয়ং সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১৬টি দল যোগদানের কথা জানিয়েছে। কয়েকজন নেতা ব্যস্ততার কারণে সশরীরে হাজির থাকতে না পারলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হবেন।