বাংলার প্রতি মোদী সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদে বুধবার থেকে রেড রোডে টানা ৩০ ঘণ্টার ধরনায় বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ক্রমাগত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানান তিনি। উদ্দেশ্য একটাই, কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা আদায় এবং তা রাজ্যবাসীর জন্য কাজে লাগানো। তবুও নির্বিকার মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ ধরনা শেষের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে ধরা পড়ল ক্ষোভ। এরপরই সমস্ত বিরোধীদের নিয়ে দিল্লীতে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের টাকা বকেয়া কেন্দ্রের কাছে। সেই টাকার পরিমাণ বাড়ছে তো বাড়ছেই। তা নিয়ে বারবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিকবার চিঠি লেখা, এমনকী দিল্লীতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে পাওনা আদায়ের কথাও বলেছেন। প্রতিবারই মিলেছে আশ্বাস, তবে বাস্তবে জোটেনি কিছুই। এতদিন ধরে বঞ্চনার প্রতিবাদে আরও কঠোর কর্মসূচী নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে ২৯ ও ৩০শে মার্চ দু’দিন ধরে ধরনায় বসেন তিনি।
এদিন ৩০ ঘণ্টা পর ধরনা শেষের সময় তাঁর বক্তব্যে ফের দিল্লীর অসহযোগিতা নিয়ে রোষ আছড়ে পড়ল। বললেন, ‘‘আমি আজ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। ভেবেছিলাম কেন্দ্র ফোন করে বলবে, তোমাদের প্রাপ্য টাকা দেব। কিন্তু কিছুই নেই। সব ভোঁ-ভাঁ।ভেবেছিলাম, কোনও একজন কুচো নেতাও ফোন করে বলবেন, তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। কিন্তু কেউ একটা ফোনও করলেন না!’’ এতে যারপরনাই বিস্মিত তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্র তথা কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির উপর চাপ সৃষ্টি করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনা শুধু রাজ্যেই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।