এবাথ জার্মানির বিদেশমন্ত্রককে ধন্যবাদ জানালেন কংগ্রেসের নেতা দিগ্বিজয় সিং। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে এক মানহানির মামলার প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীর ২ বছরের সাজা হয়। তারপরই তাঁর সাংসদপদ খারিজ হয়। এদিকে, রাহুল গান্ধীকে ঘিরে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের পর আমেরিকা বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে। এরপর জার্মানির বিদেশমন্ত্রকের তরফেও ভারতের ‘গণতান্ত্রিক নীতি’ নিয়ে বক্তব্য পেশ করা হয়। সদ্য রাহুল গান্ধীকে নিয়ে জার্মানি যা বলেছে, তাতে কার্যত ঘুরিয়ে রাহুল গান্ধীর সমর্থনে এসেই মোদী সরকারের প্রতি বার্তা দিয়েছে বার্লিন। জার্মানি এই ইস্যুতে মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে বার্তা দিয়েছে। জার্মানির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, “যতদূর বোঝা যাচ্ছে তাতে রাহুল গান্ধী এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তারপরই স্পষ্ট হবে এই রায় ও তাঁর সাংসদপদ বাতিলের ভিত্তি আছে কি না।” জার্মানি সাফ জানায় , :আশা করা হচ্ছে, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রেও বজায় থাকবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বার্লিনের এই অবস্থান দিল্লীর পক্ষে খানিকটা অস্বস্তিকর। এর আগে আমেরিকা বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতের বিরোধীদলের এই নেতা রাহুল গান্ধীকে নিয়ে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের দিকে তারা নজর রাখছে। এদিকে, জার্মানির বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের তরফে এই বার্তা পেয়ে টুইট করেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিং। জার্মানির বিদেশমন্ত্রকের এই বক্তব্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে, দিগ্বিজয় সিং বলেন, “ধন্যবাদ জার্মানির বিদেশমন্ত্রক এবং রিচার্ড ওয়াকার, এটি দেখার জন্য যে, রাহুল গান্ধীর ওপর অত্যাচারের মাধ্যমে কীভাবে গণতন্ত্রকে নিয়ে সমঝোতা হচ্ছে ভারতে।” সামনেই কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে, ২০১৯ সালে কর্ণাটকের এক সভায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মোদী পদবি নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই রাহুল গান্ধীর সেই মন্তব্যের নিরিখে ২ বছরের জন্য রাহুল গান্ধীকে কারাবাসের শাস্তি শোনায় গুজরাটের সুরাট কোর্ট। তারপরই তার সাংসদপদ খারিজ হয়। ওয়েনাদের সাংসদপদ থেকে সরে যেতে হয় রাহুলকে। বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার পর এবার মুখ খুল জার্মানি। স্বাভাবিকভাবেই যা অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদী সরকারকে।