বাংলার প্রতি মোদী সরকারের দুয়োরানিসুলভ আচরণের প্রতিবাদস্বরূপ বুধবার থেকে কলকাতার রেড রোডে থেকে টানা ৩০ ঘণ্টার ধরনা কর্মসূচীতে বসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম দিনই এই মঞ্চ মমতা সুর চড়িয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনেও ধরনায় বসার সাহস রাখেন তিনি। আর শেষদিন আন্দোলনের ধার আরও বাড়াতে তিনি হাতিয়ার হিসেবে তুলে নিলেন নেতাজীর স্লোগান, “দিল্লী চলো।” বললেন, “আরও এক দফা হোক চলো, দিল্লী চলো। নেতাজী, গান্ধীজী, আম্বেদকর, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলকে ছবি হাতে নিয়ে আমরাও দিল্লী যেতে পারি।” শুধুই কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলন নয়, রেড রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনা মঞ্চ আরও অনেক বার্তা বয়ে আনছে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের।
প্রসঙ্গত, বুধবার এই মঞ্চ থেকে বিরোধী ঐক্যের কথা বলেছিলেন মমতা। আর বৃহস্পতিবার সেই বার্তা আরও স্পষ্ট করলেন। তাঁর কথায়, ”আমি সব বিরোধী দলকে যেমন বলছি, তেমনই বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, যুব সবাইকে বলছি – জোট বাঁধো। মানুষের উপর জুলুম না কমলে আবার ‘চলো দিল্লী চলো’ হবে। আমরা নেতাজী, গান্ধীজী, আম্বেদকরের ছবি হাতে নিয়ে আমরাও দিল্লী যেতে পারি। কী করে আটকাবেন? ট্রেন দেবেন না? নিজেরা ট্রেন ভাড়া করে যাব।” এই ধরনার আগে পরপর কয়েকদিন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা-সাক্ষাতে বিরোধী ঐক্যে ফের শান দেওয়া হচ্ছিল। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর তৃণমূল তাদের পাশে দাঁড়িয়েও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলির শক্তিতে জোর দিয়ে প্রধান বিরোধী হিসেবে গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা দিয়েছিল। আর রেড রোডের মঞ্চ থেকে ফের বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন। এবং কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনে তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে চলেছেন, তা বুঝিয়ে দিলেন আরো একবার।