রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন, ‘গণতান্ত্রিক ভারত আজ সোনার পাথরবাটি।’ বুধবার শহিদ মিনারে সভা করেছেন অভিষেক। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকে দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানাবে তৃণমূল। এই দাবি নিয়ে আদালতে মামলা করবে বাংলার শাসক দল।
এদিন অভিষেক বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর কথাকে আমি সমর্থন করি না। কিন্তু যে কায়দায় তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে তা গায়ের জোর ছাড়া আর কিছুই না’। এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মোদী পদবি নিয়ে বলে যদি রাহুল গান্ধী ওবিসি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করে থাকেন, তার জন্য যদি তাঁর দু’বছরের কারাদণ্ড ও সাংসদ পদ খারিজ হয়, তাহলে যে শুভেন্দু অধিকারী বীরবাহা হাঁসদাকে বলেছিলেন আমার জুতার তলে থাকে, তাঁর কেন বিধায়ক পদ খারিজ হবে না?’
এদিন দলের লিগাল সেলকে এক মাসের সময় বেঁধে দেন অভিষেক। তাঁর নির্দেশ, সুরাত আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দাখিল করতে হবে।’
শহিদ মিনারের সভায় অভিষেক তাঁর বক্তৃতার বড় অংশে বলেন, দেশের আইন সবার জন্য এক। বিজেপির জন্য এক তৃণমূলের জন্য আলাদা তা হতে পারে না। নাম না করে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গও টানেন।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘একজন বিচারপতি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে রুল জারি করে জেলে পাঠাতাম। আর যখন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রাক্তন বিচারপতিদের সম্পর্কে বলছেন তাঁরা অ্যান্টি ইন্ডিয়া গ্যাংয়ের সদস্য—এই বেলায় বিচারপতিদের মুখে কুলুপ!’